ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মা হারানো এতিম ইয়াসিন মাকে খুঁজছে

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেতুলতলায় বাস ও পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পপি আক্তার (২১) পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মঙ্গলবার গভীর রাতে। এতে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। এর আগে তার স্বামী ইকবাল শেখকে (২৫) একই সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।

 

মঙ্গলবার ইকবাল-পপি দম্পতি পিকআপে করে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন ত্রাণের টিন আনার জন্য। সাথে দেড় বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিনও ছিল। দুর্ঘটনায় এরা তিনজনই আহত হন। ইকবাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। পপি আক্তার মঙ্গলবার গভীর রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শিশু ইয়াসিন এখন প্রতিনিয়ত তার মাকে খুঁজছে। তার ‘মা যাব’, ‘মা যাব’ আর্তনাদে এলাকায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। যারা পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে আসছেন তাদের চোখও ভিজে যাচ্ছে শিশুটির আর্তনাদে।

 

ইকবাল শেখের গ্রামের বাড়ি ছিলো ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামে।

 

 

যতই খুঁজুক ইয়াসিন আর কোথাও খুঁজে পাবে না তার মা-বাবাকে। জীবনে আর কোনদিন পারবে না কাউকে মা-বাবা বলে ডাকতে। বঞ্চিত হবে মা-বাবার স্নেহ-ভালোবাসা থেকে। অথচ কী অপরাধ ছিল এই ছোট শিশু ইয়াসিনের?  কেন তাকে মুখোমুখি হতে হলো এমন নিষ্ঠুর-নির্মম বাস্তবতার? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না কখনোই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মা হারানো এতিম ইয়াসিন মাকে খুঁজছে

আপডেট টাইম : ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
দীপঙ্কর পোদ্দার অপু, বিশেষ প্রতিনিধি :

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেতুলতলায় বাস ও পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পপি আক্তার (২১) পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মঙ্গলবার গভীর রাতে। এতে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। এর আগে তার স্বামী ইকবাল শেখকে (২৫) একই সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।

 

মঙ্গলবার ইকবাল-পপি দম্পতি পিকআপে করে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন ত্রাণের টিন আনার জন্য। সাথে দেড় বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিনও ছিল। দুর্ঘটনায় এরা তিনজনই আহত হন। ইকবাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। পপি আক্তার মঙ্গলবার গভীর রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শিশু ইয়াসিন এখন প্রতিনিয়ত তার মাকে খুঁজছে। তার ‘মা যাব’, ‘মা যাব’ আর্তনাদে এলাকায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। যারা পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে আসছেন তাদের চোখও ভিজে যাচ্ছে শিশুটির আর্তনাদে।

 

ইকবাল শেখের গ্রামের বাড়ি ছিলো ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামে।

 

 

যতই খুঁজুক ইয়াসিন আর কোথাও খুঁজে পাবে না তার মা-বাবাকে। জীবনে আর কোনদিন পারবে না কাউকে মা-বাবা বলে ডাকতে। বঞ্চিত হবে মা-বাবার স্নেহ-ভালোবাসা থেকে। অথচ কী অপরাধ ছিল এই ছোট শিশু ইয়াসিনের?  কেন তাকে মুখোমুখি হতে হলো এমন নিষ্ঠুর-নির্মম বাস্তবতার? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না কখনোই।


প্রিন্ট