ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo টাঙ্গাইল নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা Logo খোকসায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo সুবর্ণচরে রোদের মধ্যে খেলার সময় শিশুর মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে – রাজবাড়ীতে ইসি আলমগীর Logo দৌলতপুরে প্রেমের টানে দুলাভাইয়ের হাত ধরে শ্যালকের বউ উধাও Logo মুকসুদপুরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ Logo কুষ্টিয়ার মিরপুরে নছিমনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত Logo আলফাডাঙ্গাউপজেলাচেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ তাহিদুর রহমান মুক্তর মতবিনিময় সভা Logo নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিল আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বন্ধাত্বসহ সর্বরোগের চিকিৎসা করেন

কালুখালীর প্রতারক কবিরাজ লাইলী

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় এক প্রতারক কবিরাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ওই প্রতারক কবিরাজের আস্তানা। প্রতারক কবিরাজের নাম লাইলী বেগম। সে ভবানীপুরের মিরাজ আলীর স্ত্রী।

সপ্তাহের দু’দিন, শনি ও মঙ্গলবার কবিরাজ লাইলী রোগী দেখেন। রোগ ভেদে তাকে দিতে হয় চিকিৎসার ফি।বন্ধাত্ব, জ্বীনেধরা, বশিকরন, গ্যাস্টিক, আলসার, জাদু, বান, টোনা এসব চিকিৎসার জন্য লাইলী কবিরাজের ফি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এছাড়া ১ কেজি সরিসার তেল, ১ কেজি চিনি, ১ টি মোড়গ, ২’শ গ্রাম জিরা, আধা কেজি মরিচ, আধা কেজি লবন, ২ কেজি দুধসহ ২৫ প্রকার উপকরন লাগে লাইলীর চিকিৎসা ব্যয়। এছাড়া গরু, ছাগল, ভেড়াও দিতে হয় ওরশের নামে। তবে লাইলী বেগমের এসব চিকিৎসায় কারো কোন উপকার হয় না। এটা এক ধরনের প্রতারনা।
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া থেকে আসা স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া সিমু। টিকটক করার অপরাধে তার নানী কুলসুম তাকে কবিরাজের কাছে আনে। কবিরাজ লাইলী বলেছে ওকে জ্বীনে ধরেছে। ৩ হাজার টাকা আর লাল মোড়গ দিলেই জ্বীন ছাড়িয়ে দিবো।
বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার থেকে আসা ছকিনা জানায়, গ্যাষ্টিক চিকিৎসার জন্য কবিরাজ লাইলী বেগমকে ১৫ দিন আগে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। রোগ ভালো হয়নি। টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
চরচিলকা গ্রামের রুবিনা জানায়, বন্ধাত্ব ভালো করার জন্য কবিরাজ আমার ৫ হাজার টাকা নিয়েছে ৭ মাস আগে কিন্তু কাজ হয়নি।
কবিরাজী বিদ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে লাইলী বেগম জানায়, আমার কোন শক্তি নেই। জ্বীনে ভালো করে তাই ভালো হয়। অনেক ডিসি, এসপি, মিলিটারী আমার দরবারের চিকিৎসা নিতে আসে।
মানুষ প্রতারিত হলেও এই প্রতারনা চিকিৎসার অর্থদিয়ে লাইলী বেগম গড়ে তুলেছে একতলা ভবন। এ নিয়ে কেউ কিছু লেখালেখি করলে পুড়ে ছারখার হবে। গোখরা সাপে কামড় দিবে বলে সংবাদকর্মীদের ভয় দেখায় লাইলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশরাত জাহান উম্মন জানান, এ ধরনের চিকিৎসা অবৈজ্ঞানিক। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে কেউ এ ধরনের প্রতারনা করলে তা বন্ধ করতে হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইল নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা

error: Content is protected !!

বন্ধাত্বসহ সর্বরোগের চিকিৎসা করেন

কালুখালীর প্রতারক কবিরাজ লাইলী

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় এক প্রতারক কবিরাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ওই প্রতারক কবিরাজের আস্তানা। প্রতারক কবিরাজের নাম লাইলী বেগম। সে ভবানীপুরের মিরাজ আলীর স্ত্রী।

সপ্তাহের দু’দিন, শনি ও মঙ্গলবার কবিরাজ লাইলী রোগী দেখেন। রোগ ভেদে তাকে দিতে হয় চিকিৎসার ফি।বন্ধাত্ব, জ্বীনেধরা, বশিকরন, গ্যাস্টিক, আলসার, জাদু, বান, টোনা এসব চিকিৎসার জন্য লাইলী কবিরাজের ফি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এছাড়া ১ কেজি সরিসার তেল, ১ কেজি চিনি, ১ টি মোড়গ, ২’শ গ্রাম জিরা, আধা কেজি মরিচ, আধা কেজি লবন, ২ কেজি দুধসহ ২৫ প্রকার উপকরন লাগে লাইলীর চিকিৎসা ব্যয়। এছাড়া গরু, ছাগল, ভেড়াও দিতে হয় ওরশের নামে। তবে লাইলী বেগমের এসব চিকিৎসায় কারো কোন উপকার হয় না। এটা এক ধরনের প্রতারনা।
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া থেকে আসা স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া সিমু। টিকটক করার অপরাধে তার নানী কুলসুম তাকে কবিরাজের কাছে আনে। কবিরাজ লাইলী বলেছে ওকে জ্বীনে ধরেছে। ৩ হাজার টাকা আর লাল মোড়গ দিলেই জ্বীন ছাড়িয়ে দিবো।
বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার থেকে আসা ছকিনা জানায়, গ্যাষ্টিক চিকিৎসার জন্য কবিরাজ লাইলী বেগমকে ১৫ দিন আগে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। রোগ ভালো হয়নি। টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
চরচিলকা গ্রামের রুবিনা জানায়, বন্ধাত্ব ভালো করার জন্য কবিরাজ আমার ৫ হাজার টাকা নিয়েছে ৭ মাস আগে কিন্তু কাজ হয়নি।
কবিরাজী বিদ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে লাইলী বেগম জানায়, আমার কোন শক্তি নেই। জ্বীনে ভালো করে তাই ভালো হয়। অনেক ডিসি, এসপি, মিলিটারী আমার দরবারের চিকিৎসা নিতে আসে।
মানুষ প্রতারিত হলেও এই প্রতারনা চিকিৎসার অর্থদিয়ে লাইলী বেগম গড়ে তুলেছে একতলা ভবন। এ নিয়ে কেউ কিছু লেখালেখি করলে পুড়ে ছারখার হবে। গোখরা সাপে কামড় দিবে বলে সংবাদকর্মীদের ভয় দেখায় লাইলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশরাত জাহান উম্মন জানান, এ ধরনের চিকিৎসা অবৈজ্ঞানিক। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে কেউ এ ধরনের প্রতারনা করলে তা বন্ধ করতে হবে।