ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে হাফ ডজন প্রার্থী মাঠে, এগিয়ে জাহাঙ্গীর

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় হাফ ডজন সম্ভব্য প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও ইফতার মাহফিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোদাগাড়ী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা এটি। বিগত দিনে জাতীয় পাটি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। এবার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী রবিউল আলম,দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলালউদ্দীন সোহেল, সাবেক সহকারী কমিশনার (কাস্টমস) সুনন্দন দাস রতন, জামায়াত ইসলামীর রাজশাহী জেলা (পশ্চিম) আব্দুল খালেক, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী। আওয়ামী লীগের সম্ভব্য চার প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। তবে  এমপি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য কাজ করতে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত  করেছে।
এসব সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম, রবিউল আলম, ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের। অন্যদিকে দেওপাড়ায় বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের। গত নির্বাচনে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান বদিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম। ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া বেগম মিলি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য কৃঞ্চাদেবী, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে কুলসুম মেমোরী মাঠে রয়েছেন। গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচিত হন নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসাবে পরিচিত সুফিয়া খাতুন মিলি।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক নাজমুল হক ও পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের  বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, জামায়াতের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মাঠে রয়েছেন। গত নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে পরাজিত হন শফিকুল সরকার। বাকী তিনজন এবার নির্বাচনে নতুন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনসমর্থন, প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। কারণ হিসেবে তারা বলছে, সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম, রবিউল আলম, ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের।
অন্যদিকে দেওপাড়া ইউপিতে বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের।বাড়ি। এদের মধ্যে রবিউল আলমের জনপ্রিয়তা মুলত পৌর এলাকা কেন্দ্রিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভা কেন্দ্রিক রাজনীতি করে আসছেন। পৌর এলাকায় তার নিজস্ব ভোটব্যাংক ও কর্মী বাহিনী রয়েছে সত্য। তবে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হতে গেলে, উপজেলা জুড়ে যেমন ভোটব্যাংক ও কর্মী বাহিনী প্রয়োজন তা তার নাই।
অন্যদিকে দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তরুণ শিল্পপতি বেলাল উদ্দিন সোহেলের জনসমর্থন  ও কর্মী বাহিনী রয়েছে। তবে তিনি বয়সে তরুণ ও দলে নবাগত নেতৃত্ব, তার সামনে আরো অনেক সময় রয়েছে। তাকে সমর্থন দিলে দলের প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাকে এবার দলের সমর্থন  না দেবার কথা শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও গত ইউপি নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তাকে প্রার্থী ও বিজয়ী করেছিলেন।কিন্ত্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ না করেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য বেলালের সামনে আরো অনেক পথ রয়েছে, হুট করেই তিনি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হন, তাহলে আগামিতে তিনি যে এমপির টিকেট চাইবেন না তার নিশ্চয়তা কি ?
এই বিষয়টি তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে সুনন্দন দাস রতন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্ত্ত মাঠ পর্যায়ে তার জনবল ও কর্মী বাহিনীর সংকট রয়েছে বলে মনে করছেন দলের তৃণমুল। এছাড়াও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনীর কিছুটা সম্ভবনা ছিল। কিন্ত্ত প্রয়াত ডাকমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুলের পরিবারের সঙে বিরোধ ও দলীয়কোন্দল তাকে পিছিয়ে দিয়েছে। এসব বিবেচনায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আবারো বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
গত নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী  লীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান বদিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন  ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম।  এবিষয়ে রিশিকুল ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর আলমের কোনো বিকল্প নাই। এছাড়াও তিনি দলের সমর্থিত প্রার্থী তার বিজয় নিশ্চিত করা তিনিসহ দলের সকল নেতাকর্মীর  নৈতিক দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে হাফ ডজন প্রার্থী মাঠে, এগিয়ে জাহাঙ্গীর

আপডেট টাইম : ১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় হাফ ডজন সম্ভব্য প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও ইফতার মাহফিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোদাগাড়ী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা এটি। বিগত দিনে জাতীয় পাটি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। এবার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী রবিউল আলম,দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলালউদ্দীন সোহেল, সাবেক সহকারী কমিশনার (কাস্টমস) সুনন্দন দাস রতন, জামায়াত ইসলামীর রাজশাহী জেলা (পশ্চিম) আব্দুল খালেক, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী। আওয়ামী লীগের সম্ভব্য চার প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। তবে  এমপি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য কাজ করতে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত  করেছে।
এসব সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম, রবিউল আলম, ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের। অন্যদিকে দেওপাড়ায় বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের। গত নির্বাচনে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান বদিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম। ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া বেগম মিলি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য কৃঞ্চাদেবী, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে কুলসুম মেমোরী মাঠে রয়েছেন। গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচিত হন নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসাবে পরিচিত সুফিয়া খাতুন মিলি।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক নাজমুল হক ও পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের  বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, জামায়াতের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মাঠে রয়েছেন। গত নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে পরাজিত হন শফিকুল সরকার। বাকী তিনজন এবার নির্বাচনে নতুন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনসমর্থন, প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। কারণ হিসেবে তারা বলছে, সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম, রবিউল আলম, ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের।
অন্যদিকে দেওপাড়া ইউপিতে বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের।বাড়ি। এদের মধ্যে রবিউল আলমের জনপ্রিয়তা মুলত পৌর এলাকা কেন্দ্রিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভা কেন্দ্রিক রাজনীতি করে আসছেন। পৌর এলাকায় তার নিজস্ব ভোটব্যাংক ও কর্মী বাহিনী রয়েছে সত্য। তবে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হতে গেলে, উপজেলা জুড়ে যেমন ভোটব্যাংক ও কর্মী বাহিনী প্রয়োজন তা তার নাই।
অন্যদিকে দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তরুণ শিল্পপতি বেলাল উদ্দিন সোহেলের জনসমর্থন  ও কর্মী বাহিনী রয়েছে। তবে তিনি বয়সে তরুণ ও দলে নবাগত নেতৃত্ব, তার সামনে আরো অনেক সময় রয়েছে। তাকে সমর্থন দিলে দলের প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাকে এবার দলের সমর্থন  না দেবার কথা শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও গত ইউপি নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরী কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তাকে প্রার্থী ও বিজয়ী করেছিলেন।কিন্ত্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ না করেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য বেলালের সামনে আরো অনেক পথ রয়েছে, হুট করেই তিনি যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হন, তাহলে আগামিতে তিনি যে এমপির টিকেট চাইবেন না তার নিশ্চয়তা কি ?
এই বিষয়টি তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে সুনন্দন দাস রতন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্ত্ত মাঠ পর্যায়ে তার জনবল ও কর্মী বাহিনীর সংকট রয়েছে বলে মনে করছেন দলের তৃণমুল। এছাড়াও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনীর কিছুটা সম্ভবনা ছিল। কিন্ত্ত প্রয়াত ডাকমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুলের পরিবারের সঙে বিরোধ ও দলীয়কোন্দল তাকে পিছিয়ে দিয়েছে। এসব বিবেচনায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আবারো বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
গত নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী  লীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান বদিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন  ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম।  এবিষয়ে রিশিকুল ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর আলমের কোনো বিকল্প নাই। এছাড়াও তিনি দলের সমর্থিত প্রার্থী তার বিজয় নিশ্চিত করা তিনিসহ দলের সকল নেতাকর্মীর  নৈতিক দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।