১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধীরা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এমনকি যারা সে সময় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, রাজাকার আলবদর তাদেরও অনেকের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় এসেছে।
তাছাড়া উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি যাদের ‘খ’ ও ‘গ’ নামঞ্জুর তালিকায় জামুকায় পাঠায়েছে তাদের নামও সারাদেশের সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আর যারা উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত ‘ক’ মঞ্জুর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের নাম এখনো মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় গেজেটভুক্ত হয়নি।
এসব অভিযোগ নিয়ে ‘ক’ তালিকাদের গেজেটভুক্ত করা ও অমুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে বুধবার দুপুরে বোয়ালমারী থানা রোডের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুদ্ধকালীন বোয়ালমারীর গোহাইলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭১’র শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস মুক্তিকামী বাঙালির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলো। সে সময় একদিকে ছিলো দেশ স্বাধীন করার শক্তি অপরদিকে ছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি।
তিনি বলেন, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও একেএম ফজলুর রহমান এর নাম আলবদর তালিকা, ১৯৭২ সালের বোয়ালমারী থানার মামলা নম্বর-১৩(৯), ১৯৭২)।
এদের নামসহ আরো কয়েকজনের নাম আলবদরের তালিকায় জামুকার ওয়েবসাইডেও প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের মো. বজলুর রহমান ও চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের আবু দাউদ মোল্যা মুক্তিয্দ্ধু না করেও মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। এসব লোকজন আবারো মুক্তিযোদ্ধা সমন্বিত তালিকায় কিভাবে অন্তর্ভূক্ত হয়?
এ বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যতদিন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের নাম বাদ না দেওয়া হবে; এর আগে যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় সম্মানে দাফন করা না হয়’।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, ডেপুটি কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম মোল্যা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধাগনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কমান্ডারবৃন্দ।
প্রিন্ট