ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ স্যারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ২ এপ্রিল মঙ্গলবার।
২০২১ সালের এই দিনে রাত পৌনে নয়টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াতের ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীস্থ বাস ভবনে গীতাপাঠসহ বিভিনন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঐদিন দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তারাপদ স্যার এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারি ছিলেন। শিক্ষকতা ও সাংবদিকতার পাশাপাশি নাটকসহ বিভিন্ন সমাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে নেপথ্যে থেকে তিনি দিক নির্দেশনাকারী ভূমিকা পালন করেছেন। এ কারনে তিনি ফরিদপুরবাসীর কছে হয়ে উঠেছিলেন একটি বাতিঘর।
শহীদ পরিবারের সন্তান জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ১৯২৮ সালের ৬ আগষ্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে মাতুতালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ২ মে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের পরিবার। ওইদিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌর গোপাল ঘোষ, কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি দি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ফরিদপুর জেলা ইউনিটের শহীদ সাংবাদিক সামসুর রহমান স্বর্ণপদক লাভ করেন। ২০১৩ সালে তাঁকে গৌতম স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়। ২০০৫ সালে ডাচবাংলা ব্যাংক-প্রথম আলোর উদ্যোগে ফরিদপুর অঞ্চলের গণিত উৎসবে তাঁবে বিশেষ ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি আইপিডিসি- প্রথম আলো সেরা প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা লাভ করেন।
প্রিন্ট