রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউপির সাঁজুরিয়া গ্রামের কৃষক নবাব আলী মন্ডলের ৬ বছর বয়সের শিশুপুত্র মুরসালীন নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিনের মাথায় বুধবার ১৯ মে সকালে বাড়ির অদূরে একটি পাটক্ষেত থেকে তার বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা পাটক্ষেতে বস্তাবন্দী লাশ দেখে পাংশা মডেল থানা পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাংশা মডেল থানা পুলিশ নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং পোষ্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ রাজবাড়ী মর্গে পাঠায়।
জানা যায়, গত রবিবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে (সরিষা-হোসেনডাঙ্গা বাজার সড়ক) পাকা রাস্তার উপর থেকে শিশু মুরসালীন অপহৃত হয় বলে প্রচার করা হয়। সে আলোকে নিহত শিশু মুরসালীনের পিতা নবাব আলী মন্ডল পাংশা মডেল থানায় জিডি করেন।
এদিকে, বুধবার সকাল ৯টার দিকে মাঠ থেকে ঘাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলা পাট ক্ষেতের মধ্যে বস্তাবন্দী লাশ সাদৃশ্য দেখে লোকজনকে জানায়। এরপর স্থানীয় লোকজন নবাব আলী মন্ডলের বাড়ীর দক্ষিণে আনুমানিক চারশ’ গজ দূরে কৃষক বছির উদ্দিনের পাটক্ষেতে বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পায়। বেলা বাড়ার সাথেসাথে লোকজন সেখানে ভিড় জমায়।
শিশু মুরসালীনের বস্তাবন্দী লাশ দেখে স্বজনরা আহাজারি করে এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত শিশু মুরসালীনের গায়ে সাদা হাফ শার্ট ও পরনে রঙিন থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট ছিল।
শুরু থেকেই ঘটনার নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটি অপহরণ নাকি অন্য কোনো বিষয় তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ইতোমধ্যে নবাব মন্ডলের ভাস্তে রনি মন্ডলের (১৫) কর্মকান্ড নিয়ে এলাকায় লোকমুখে সমালোচনা উঠেছে। প্রথমে রনির দিকে অভিযোগের তীর ছোড়া হলেও পারিবারিকভাবে তা চেপে যাওয়া হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার বিকেলে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনার মোটিভ উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট