ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ Logo কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ওয়ান শুটারগান উদ্ধার Logo লালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo মধুখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক কারবারী আটক,মাদক ধ্বংস Logo নাটোরে ১২ বছরের শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুরে মধুমতী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে এক যাত্রী আহত Logo বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা Logo বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের তীব্রতা, নিঃশ্ব মধুমতি পাড়ের শতশত পরিবার Logo জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা Logo গ্রাম আদালতের মাসিক জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামে গাছ কাটা ও গোরস্থানের টাকা আত্মসাৎ কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

 

মাদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বাবুল আখতার এর বড় মেয়ে তানিয়া খাতুন শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্য জানান, আমার মা মারা যাওয়ার পরে ওয়ারিশ সূত্রে, আমার মায়ের সম্পত্তির মালিকানা আমরা বোনেরা বুঝে পাই।

 

এবং সেই সম্পত্তি জোর করে ভোগ দখল সহ জমিতে থাকা গাছপালা জোর করে কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে আমার চাচা কারি সরকার সহ তার ছেলে জোগনুর জামান সুইট সরকার।

 

তারই ধারাবাহিকতায় ২৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ৮:৩০ মিনিটে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় তারা আমাদের গাছ কাটিয়া নিতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি নিষেধ করিতে গেলে কারি সরকারের হুকুমে জোগনুর জামান সুইট সরকারের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার উপরে কোপ মারিতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে প্রতিরোধ করলে আমার হাতে কোপ লাগিয়া মর্মান্তিকভাবে জখম হয়ে আহত হই।

 

এবং আমার ছোট বোন ও মেয়েকে এই হামলায় ওতপ্রোতভাবে অংশগ্রহণকারী সুইট সরকারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, অজিফা সরকার সহ গুলজার হোসেন লোহার রোড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

 

পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আমার বাবা-মা সহ ফুফাতো ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়।

পরে আমার ফুফাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং আমার হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়।

 

 

উল্লেখ্য এর আগেও পারিবারিক গোরস্থানের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ কে কেন্দ্র করেও একই ব্যক্তিরা এধরণের হামলার ঘটনা ঘটায়। এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন সম্মেলনে সঠিক বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

 

এ সময় সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকসহ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ

error: Content is protected !!

দৌলতপুরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ১১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামে গাছ কাটা ও গোরস্থানের টাকা আত্মসাৎ কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

 

মাদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বাবুল আখতার এর বড় মেয়ে তানিয়া খাতুন শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্য জানান, আমার মা মারা যাওয়ার পরে ওয়ারিশ সূত্রে, আমার মায়ের সম্পত্তির মালিকানা আমরা বোনেরা বুঝে পাই।

 

এবং সেই সম্পত্তি জোর করে ভোগ দখল সহ জমিতে থাকা গাছপালা জোর করে কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে আমার চাচা কারি সরকার সহ তার ছেলে জোগনুর জামান সুইট সরকার।

 

তারই ধারাবাহিকতায় ২৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ৮:৩০ মিনিটে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় তারা আমাদের গাছ কাটিয়া নিতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি নিষেধ করিতে গেলে কারি সরকারের হুকুমে জোগনুর জামান সুইট সরকারের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার উপরে কোপ মারিতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে প্রতিরোধ করলে আমার হাতে কোপ লাগিয়া মর্মান্তিকভাবে জখম হয়ে আহত হই।

 

এবং আমার ছোট বোন ও মেয়েকে এই হামলায় ওতপ্রোতভাবে অংশগ্রহণকারী সুইট সরকারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, অজিফা সরকার সহ গুলজার হোসেন লোহার রোড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

 

পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আমার বাবা-মা সহ ফুফাতো ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়।

পরে আমার ফুফাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং আমার হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়।

 

 

উল্লেখ্য এর আগেও পারিবারিক গোরস্থানের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ কে কেন্দ্র করেও একই ব্যক্তিরা এধরণের হামলার ঘটনা ঘটায়। এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন সম্মেলনে সঠিক বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

 

এ সময় সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকসহ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট