কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মচারী মো. হাফিজুর রহমান স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চাকরিতে থাকাকালীন বিধিবা, অসহায় এবং প্রতিবন্ধীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তিনি টাকা হাতিয়ে নেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
মো. হাফিজুর রহমান মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্ডিওগ্রাফার ছিলেন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতারণার শিকার শারমিন সুলতানা নামের এক বিধবা নারী বলেন, খেয়ে না খেয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। সেই টাকা মো. হাফিজুর রহমান ব্যবসা করে লাভ দেবেন বলে নিয়েছিলেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন ফোনও ধরেন না। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এখন আমি আমরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
মিনু খাতুন নামের অপর এক বিধবা বলেন, আমার ৫ লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে মো. হাফিজুর রহমান পালিয়ে গেছেন। আমি এখন কি করবো, কার কাছে বিচার চাইবো বুঝতে পারছি না।
ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন নামের এক প্রতিবন্ধী বলেন, হাফিজুর রহমান আমার কষ্টার্জিত দেড় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। লোকমুখে শুনেছি, তিনি নাকি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়ে সেখানে রয়েছেন। জনগণের এত টাকা লুটপাট করে কিভাবে একজন সরকারি চাকরিজীবী আবারও চাকরিতে বহাল থাকে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে তারা সঠিক তদন্ত করে ভুক্তভোগীদের টাকা ফিরিয়ে দেন।
এই বিষয়ে জানতে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কার্ডিওগ্রাফার মো. হাফিজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পীযূষ কুমার সাহা বলেন, আমি হাসপাতালে যোগদান করার আগেই কার্ডিওগ্রাফার মো. হাফিজুর রহমান খুলনায় বদলি হয়ে গেছেন। আমি লোকমুখে শুনেছি, তিনি নাকি এই এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
প্রিন্ট