নিউজ ২৪ এর কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক স্বর্ণযুগ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক জামিল হাসান খান খোকনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে এবং তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খোকনের বড় ভাই নাফিজ আহম্মেদ খান টিটো ও নিহতের পরিবার।
সোমবার (১৭ মে) সকাল ১১টার দিকে কোর্টপাড়াস্থ নিজ বাস ভবনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নাফিজ আহমেদ টিটো বলেন, তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগ পত্রে আসামীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। থানা পুলিশ যদি সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে সাজা না দেয় তা হলে আদালতসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্মরণাপন্ন হবো।
তিনি বলেন, হত্যাকারীরা নানা ফন্দী ফিকির করে যাচ্ছে। তারা নিহত খোকনের স্ত্রীর কাছে অর্থের প্রস্তাবও দিয়েছে। আমরা অর্থ চাই না আমরা আমার ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, আজ যদি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হয় তা হলে তারা আগামীতেও আরো কত সাংবাদিককে হত্যা করবে বলা কঠিন। তাই আমি এবং আমাদের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নিহত সাংবাদিক জামিল হাসান খান খোকনের স্ত্রী কামরুন্নাহার খানসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নিহত সাংবাদিক জামিল হাসান খান খোকনের স্ত্রী কামরুন্নাহার খানসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বড় ভাই নাফিজ আহমেদ খান টিটু, জাতীয় পার্টির সভাপতি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন। যার নং ৭৪১ তারিখ ১৫/০৫/২১। অভিযোগে তিনি ৪ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ৪ জনের মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব (কেপিসি) সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মিলন উল্লা, সালমান শাহারিয়া রাজু ও রাকিুবুল হাসান।
মামলার অভিযোগকারী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ১২ মে রাতে রাশিদুল ইসলাম বিপ্লব জামিল হাসান খোকনকে তার বাসা পূর্ব মজমপুর আরশীনগর ভবনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তর্ক বির্তকের এক পর্যায় রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রথমে আমার ভাই খোকনকে জোরে ধাক্কা দেয় এবং অপররা ঝপটে ধরলে খোকন উক্ত স্থানেই জ্ঞান হারায়।
প্রথমে খোকনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে শারিরি অবস্থা অবনতি দেখা দিলে রাতেই ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসার এক পর্যায় খোকন ১৪ মে রাতে মারা যান।
তিনি আরো বলেন, বিপ্লব গংরা ইতিপুর্বেও আরো ২ দফা আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়।
প্রিন্ট