ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ Logo লালপুরে দিবালোকে ভ্যানচালক হত্যার ঘটনায় আটক ২ Logo গোমস্তাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo তানোরে প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে মতবিনিময় Logo মধুখালীতে এম এম একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরণ Logo পদ্মা নদীতে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করলেন ইউএনও Logo গোয়ালন্দে রাস্তার কাজের ধীরগতিতে জনগণের চরম ভোগান্তিঃ স্থানীয় এলাকাবাসীদের মানববন্ধন Logo আন্তরিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করুনঃ -জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তার Logo দেশ নায়ক তারেক রহমানের ভালোবাসায় এ গণসংবর্ধনাঃ -মোস্তাফিজুর রহমান দিপু Logo ঠাকুরগাঁওয়ে সাদরে সংবর্ধিত হলেন ড.শামারুহ্ মির্জা ও ড. ফাহাম আব্দুস সালাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রথম আলোর মানববন্ধন

দুর্নীতির রিপোর্ট করায় রোজিনা ইসলাম আক্রোশের শিকার

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁকে অপদস্থকারীদের তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানান তাঁরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তাঁরা এসব দাবি জানান।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারীদের বিচার এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে আজ বিকেলে সাড়ে চারটায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রথম আলোর সাংবাদিক, বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মীরা অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনের নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ভিজেই সহকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ‘বিপন্ন সাংবাদিকতা, কাঁদছে দেশ’, ‘রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাই’, ‘স্বাধীন দেশে স্বাধীন গণমাধ্যম চাই’, ‘সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কী’, ‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’, ‘সাংবাদিকতাসংশ্লিষ্ট কালো আইন বাতিল চাই’, ‘বাকস্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা পোস্টার ছিল।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, রোজিনা ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন। তাঁর সুনাম দেশে ও দেশের বাইরে। সাংবাদিকতার জন্য বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সাংবাদিকতার মূল শক্তি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। তিনি অনেক কিছু উন্মোচন করেছেন এবং তাঁর প্রতিবেদন ধরে সরকার সংশোধনমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে।

সাজ্জাদ শরিফ আরও বলেন, করোনার কারণে জনস্বাস্থ্য খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে রিপোর্ট করছিলেন। এসব রিপোর্টের কারণে যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে, তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছেন রোজিনা ইসলাম। তাঁকে যেভাবে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে, সেটার কোনো কারণ ছিল না।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

রোজিনা ইসলামের বিষয়টি আইনের পথেই মোকাবিলা করা হবে বলে জানান সাজ্জাদ শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের প্রতি আস্থাশীল যে আমরা ন্যায়বিচার পাব। রোজিনা ইসলাম একজন সাংবাদিক হিসেবে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কোনো অন্যায় করতে যাননি। তাঁর সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে মানুষ উপকৃত হয়েছে, সাংবাদিকতা উপকৃত হয়েছে, দেশ উপকৃত হয়েছে।’

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘দেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল অ্যাক্টসহ যেসব আইন হয়েছে, সেগুলো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জন করেছি, তার সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে বিপরীতমুখী ও সাংঘর্ষিক। এগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার পথকে সংকুচিত করেছে।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

রোজিনা ইসলামের নামে করা মামলা নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার এবং তাঁর মুক্তির দাবি জানান প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও হতে পারে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হতে পারে। আজ রিমান্ডের আবেদন না করলে আমরা রোজিনার জামিনও পেতে পারতাম। একজন নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি, রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটি মিথ্যা মামলা। রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার চাই এবং তাঁকে অপদস্থকারীদের তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চাই।’

রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারীরা সারা বিশ্বের সামনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে মনে করেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যারা রোজিনাকে হেনস্তা করেছে, আটকে রেখেছ, তারা সরকারের ভালো করেনি। তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেনি। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

সারা বিশ্ব দেখছে, এই দেশটি সাংবাদিক নিপীড়নকারী দেশ এবং গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে এমন একটি দেশ। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য এবং সুশাসনের জন্য দরকার।’

আনিসুল হক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সবাই রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাচ্ছেন। জনগণের মনের কথা সরকারের পড়তে পারা উচিত। রোজিনা ইসলামের মুক্তির বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ চাই।’

মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরাও অংশ নেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী মানববন্ধনে বলেন, রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে থামাতে পরিকল্পিতভাবে সাজানো নাটক করা হয়েছে। রোজিনা ইসলামের এই ঘটনা সরকার ও সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা কি না, সেটি তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ

error: Content is protected !!

প্রথম আলোর মানববন্ধন

দুর্নীতির রিপোর্ট করায় রোজিনা ইসলাম আক্রোশের শিকার

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
ডেস্ক রিপোর্টঃ :

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁকে অপদস্থকারীদের তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানান তাঁরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তাঁরা এসব দাবি জানান।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারীদের বিচার এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে আজ বিকেলে সাড়ে চারটায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রথম আলোর সাংবাদিক, বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মীরা অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনের নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ভিজেই সহকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ‘বিপন্ন সাংবাদিকতা, কাঁদছে দেশ’, ‘রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাই’, ‘স্বাধীন দেশে স্বাধীন গণমাধ্যম চাই’, ‘সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কী’, ‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’, ‘সাংবাদিকতাসংশ্লিষ্ট কালো আইন বাতিল চাই’, ‘বাকস্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা পোস্টার ছিল।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, রোজিনা ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন। তাঁর সুনাম দেশে ও দেশের বাইরে। সাংবাদিকতার জন্য বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সাংবাদিকতার মূল শক্তি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। তিনি অনেক কিছু উন্মোচন করেছেন এবং তাঁর প্রতিবেদন ধরে সরকার সংশোধনমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে।

সাজ্জাদ শরিফ আরও বলেন, করোনার কারণে জনস্বাস্থ্য খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে রিপোর্ট করছিলেন। এসব রিপোর্টের কারণে যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে, তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছেন রোজিনা ইসলাম। তাঁকে যেভাবে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে, সেটার কোনো কারণ ছিল না।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

রোজিনা ইসলামের বিষয়টি আইনের পথেই মোকাবিলা করা হবে বলে জানান সাজ্জাদ শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের প্রতি আস্থাশীল যে আমরা ন্যায়বিচার পাব। রোজিনা ইসলাম একজন সাংবাদিক হিসেবে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কোনো অন্যায় করতে যাননি। তাঁর সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে মানুষ উপকৃত হয়েছে, সাংবাদিকতা উপকৃত হয়েছে, দেশ উপকৃত হয়েছে।’

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘দেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল অ্যাক্টসহ যেসব আইন হয়েছে, সেগুলো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জন করেছি, তার সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে বিপরীতমুখী ও সাংঘর্ষিক। এগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার পথকে সংকুচিত করেছে।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনন্তার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন প্রথম আলোর কর্মীরা।

রোজিনা ইসলামের নামে করা মামলা নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার এবং তাঁর মুক্তির দাবি জানান প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও হতে পারে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হতে পারে। আজ রিমান্ডের আবেদন না করলে আমরা রোজিনার জামিনও পেতে পারতাম। একজন নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি, রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটি মিথ্যা মামলা। রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার চাই এবং তাঁকে অপদস্থকারীদের তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চাই।’

রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারীরা সারা বিশ্বের সামনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে মনে করেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যারা রোজিনাকে হেনস্তা করেছে, আটকে রেখেছ, তারা সরকারের ভালো করেনি। তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেনি। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

সারা বিশ্ব দেখছে, এই দেশটি সাংবাদিক নিপীড়নকারী দেশ এবং গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে এমন একটি দেশ। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য এবং সুশাসনের জন্য দরকার।’

আনিসুল হক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সবাই রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাচ্ছেন। জনগণের মনের কথা সরকারের পড়তে পারা উচিত। রোজিনা ইসলামের মুক্তির বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ চাই।’

মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরাও অংশ নেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী মানববন্ধনে বলেন, রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে থামাতে পরিকল্পিতভাবে সাজানো নাটক করা হয়েছে। রোজিনা ইসলামের এই ঘটনা সরকার ও সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা কি না, সেটি তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।


প্রিন্ট