ঘটনার অন্তত পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল পাঁচটায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে, তখন ওই কিশোরী রেললাইনেই বসেছিল। ট্রেনটি ২০ গজ দূরে থাকতে মেয়েটি উঠে হঠাৎ করে রেললাইনে লম্বালম্বি শুয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ট্রেনটি তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এতে তার শরীরের কয়েক জায়গায় ছিলে যায়। তার নাম-পরিচয় ও এমন করার কারণ জানতে চাইলে সে শুধু বাবার নাম ও ঠিকানা জানিয়ে চুপ হয়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-পায়ের কয়েক জায়গা ছিলে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।