ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা

-ছবিঃ প্রতীকী।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পূর্ব ঘোষপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) ওই নারীর লাশ স্বজনেরা উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রী তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে মারা যায় এবং মেয়েকে বিবাহ দেন। ছেলেদের মারা যাওয়ার শোক আর একাকীত্বের কারণে নিজের দুঃখ কষ্টের কারণে ও ঋণের চাপে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করেন থানা পুলিশ।
ঘোষপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, নিহত ওই মহিলা শুক্রবার তাঁর বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার সকালে ওই মহিলার কাছে এনজিও কর্মী আসলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে ওই মহিলার ননদ ও দেবর অনেকবার ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলে আছে। পরে তারা লাশ নিচে নামিয়ে রাখেন।
থানার উপপরিদর্শক মো. বাবুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে আমার লাশ নিচে নামানো পেয়েছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পূর্ব ঘোষপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) ওই নারীর লাশ স্বজনেরা উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রী তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে মারা যায় এবং মেয়েকে বিবাহ দেন। ছেলেদের মারা যাওয়ার শোক আর একাকীত্বের কারণে নিজের দুঃখ কষ্টের কারণে ও ঋণের চাপে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করেন থানা পুলিশ।
ঘোষপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, নিহত ওই মহিলা শুক্রবার তাঁর বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার সকালে ওই মহিলার কাছে এনজিও কর্মী আসলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে ওই মহিলার ননদ ও দেবর অনেকবার ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলে আছে। পরে তারা লাশ নিচে নামিয়ে রাখেন।
থানার উপপরিদর্শক মো. বাবুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে আমার লাশ নিচে নামানো পেয়েছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।