ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কালুখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার Logo বাঘায় বিস্ফোরক মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল বিরোধী অভিযান অব্যাহতঃ রোগীদের স্বস্তি, পুলিশের কঠোর অবস্থান Logo নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়েকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা Logo সদরপুরে গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৩জন গ্রেপ্তার Logo রাজশাহীতে জমি দখল করতে না পেরে মিথ্যা মামলা, সংবাদ সম্মেলন Logo ফরিদপুরে পেনশনের টাকা হিসাবে যুক্ত হয়ে আবার ফেরৎ যাওয়ায় বিপাকে ৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি Logo ভূরুঙ্গামারীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, দামে হতাশ কৃষক Logo ছোটগল্পঃ জৈষ্ঠ্যের দিনগুলি Logo রাত থেকে নিখোঁজ, ভোরে ডোবায় মিললো কিশোরের দগ্ধ মরদেহ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে বাসায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের বহিষ্কারসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা থানা উপজেলার শমসপুর বাজারের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সদর খানের বাড়িতে নির্যাতনের করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেনের। তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আহত আলমগীর হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসার শমসপুর বাজারের পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন মিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জোর করে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শমসপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর খান তাকে বেতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সদর খানের ভাই রহিম খানের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করতে অস্বীকার করলে তার বুকের উপর পা দিয়ে চাপা দেন এবং মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে নির্যাতন করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলেই সদর খান, তার ভাই রহিম খান ও রহিম খানের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন।

বিষয়টি জানা-জানি হলে ক্ষোভে ফুসে ওঠেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সদর উদ্দিন খান ও রহিম খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন তারা।

এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। কয়েকবার দল ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে বিতর্কিত জেলার সভাপতি সদর উদ্দিন খানের দল থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার বলেন, ‘গত জাতীয় নির্বাচনেও খোকসা কুমারখালী আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন সদর খান। তার বিরুদ্ধে গেলেই দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালান তিনি। এবার দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ ঘটনার মামলায় সদর উদ্দিন খানকে আসামি না করতে থানা থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত চলছে। কোনো ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া কিংবা যোগ করার কোনো ব্যাপার নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেওয়া হবে।’

 

জেলার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নিজ দলেরই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কালুখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে বাসায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের বহিষ্কারসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা থানা উপজেলার শমসপুর বাজারের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সদর খানের বাড়িতে নির্যাতনের করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেনের। তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আহত আলমগীর হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসার শমসপুর বাজারের পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন মিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জোর করে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শমসপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর খান তাকে বেতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সদর খানের ভাই রহিম খানের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করতে অস্বীকার করলে তার বুকের উপর পা দিয়ে চাপা দেন এবং মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে নির্যাতন করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলেই সদর খান, তার ভাই রহিম খান ও রহিম খানের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন।

বিষয়টি জানা-জানি হলে ক্ষোভে ফুসে ওঠেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সদর উদ্দিন খান ও রহিম খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন তারা।

এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। কয়েকবার দল ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে বিতর্কিত জেলার সভাপতি সদর উদ্দিন খানের দল থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার বলেন, ‘গত জাতীয় নির্বাচনেও খোকসা কুমারখালী আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন সদর খান। তার বিরুদ্ধে গেলেই দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালান তিনি। এবার দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ ঘটনার মামলায় সদর উদ্দিন খানকে আসামি না করতে থানা থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত চলছে। কোনো ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া কিংবা যোগ করার কোনো ব্যাপার নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেওয়া হবে।’

 

জেলার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নিজ দলেরই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।


প্রিন্ট