ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘায় বালু নিয়ে বিবাদে মারধর, মোটরসাইকেল ভাংচুর

-প্রতীকী ছবি।

রাজশাহীর বাঘায় স্তুপ করা বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদে এক পক্ষের ৪জন আহতসহ মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

হামলায় আহতরা হলেন ইউনিয়নটির কিশোরপুর বিলপাড়া গ্রামের আজিম উদ্দীনের দুই ছেলে সোহাগ হোসেন (২৫) ও শামীম হোসেন (২৩), একই গ্রামের লোকমান হোসেনের দুই ছেলে শিলন হোসেন (২২) ও বুলবুল হোসেন (২৪)। গুরুতর আহত ২ জন সোহাগ হোসেন ও শামীম হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে নদীর তোলা বালু স্তুপ করে রাখা হয়। শুক্রবার লোকজন নিয়ে সেই বালু বিক্রি করছিলেন গ্রামের আজিম উদ্দীনের অপর ছেলে, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংসঠনিক সম্পাদক সুজন আলী। অপরদিকে তোলা বালু সামিউল এন্টারপ্রাইজের দাবি করে তাদের বালু তুলতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে কথাকাাটি হলে চেয়ারম্যান মেরাজ সরকার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে থানায় আসতে বলেন।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুজন আলীর দাবি, তারা বাড়িতে চলে আসার পথে চেয়ারম্যান মেরাজের ভাই মিজানুর মিনারসহ তার পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করে তার লোকজনকে আহত এবং ৩টা মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। স্তুপ করে রাখা বালুর মালিকানা ছিল না বলে দাবি করেন সুজন আলী।

 

মিজানুর রহমান জানান, নদী ড্রেজিং এর সময় এলাকার কিছু লোকজন বালু স্তুপ করে রেখেছিল। সেই বালু বিক্রি করছিল সুজন আলী। তাকে নিষেধ করা হলেও কুত্তা গাড়িতে বালু তুলছিল।এছাড়াও সুজনের সমর্থিত ছেলেরা স্যালেন্সার পাইপ ছাড়াই মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। শব্দ দূষনে লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের সাথে আমি জড়িত নই।

বাঘা থানার সহকারি পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, স্তুপ করে রাখা বালু বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উভয় পক্ষ চলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক পক্ষের লোকজন অপর পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামন্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।

 

ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। বিষয়টি জানার পর, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানায় ফোন দিয়েছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন। তবে সুজনের লোকজন আগে মারধর করেছে বলে জেনেছি। সেই অনুরাগে পরে তার পক্ষের লোকজনকে মরাপিট করেছে বলে শুনেছি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাঘায় বালু নিয়ে বিবাদে মারধর, মোটরসাইকেল ভাংচুর

আপডেট টাইম : ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

রাজশাহীর বাঘায় স্তুপ করা বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদে এক পক্ষের ৪জন আহতসহ মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

হামলায় আহতরা হলেন ইউনিয়নটির কিশোরপুর বিলপাড়া গ্রামের আজিম উদ্দীনের দুই ছেলে সোহাগ হোসেন (২৫) ও শামীম হোসেন (২৩), একই গ্রামের লোকমান হোসেনের দুই ছেলে শিলন হোসেন (২২) ও বুলবুল হোসেন (২৪)। গুরুতর আহত ২ জন সোহাগ হোসেন ও শামীম হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে নদীর তোলা বালু স্তুপ করে রাখা হয়। শুক্রবার লোকজন নিয়ে সেই বালু বিক্রি করছিলেন গ্রামের আজিম উদ্দীনের অপর ছেলে, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংসঠনিক সম্পাদক সুজন আলী। অপরদিকে তোলা বালু সামিউল এন্টারপ্রাইজের দাবি করে তাদের বালু তুলতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে কথাকাাটি হলে চেয়ারম্যান মেরাজ সরকার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে থানায় আসতে বলেন।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুজন আলীর দাবি, তারা বাড়িতে চলে আসার পথে চেয়ারম্যান মেরাজের ভাই মিজানুর মিনারসহ তার পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করে তার লোকজনকে আহত এবং ৩টা মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। স্তুপ করে রাখা বালুর মালিকানা ছিল না বলে দাবি করেন সুজন আলী।

 

মিজানুর রহমান জানান, নদী ড্রেজিং এর সময় এলাকার কিছু লোকজন বালু স্তুপ করে রেখেছিল। সেই বালু বিক্রি করছিল সুজন আলী। তাকে নিষেধ করা হলেও কুত্তা গাড়িতে বালু তুলছিল।এছাড়াও সুজনের সমর্থিত ছেলেরা স্যালেন্সার পাইপ ছাড়াই মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। শব্দ দূষনে লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের সাথে আমি জড়িত নই।

বাঘা থানার সহকারি পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, স্তুপ করে রাখা বালু বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উভয় পক্ষ চলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক পক্ষের লোকজন অপর পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামন্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।

 

ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। বিষয়টি জানার পর, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানায় ফোন দিয়েছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন। তবে সুজনের লোকজন আগে মারধর করেছে বলে জেনেছি। সেই অনুরাগে পরে তার পক্ষের লোকজনকে মরাপিট করেছে বলে শুনেছি।