ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় মেসের ব্যয় সামলাতে হিমশিম, ছোলা মুড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ইফতার

কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাসা ভাড়া নিয়ে পৃথকভাবে ছাত্রাবাস গড়ে তোলেন। শহরের মধ্যে অংসখ্য মেস রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব পড়েছে মেসের শিক্ষার্থীদের ওপর। রোজাদার শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত দামে ফলমূল, ইফতার পণ্য ও প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনতে পারছে না। অধিকাংশ মেসের শিক্ষার্থীরা ছোলা, মুড়ি, খেজুর দিয়ে ইফতার করেন।

 

তাদের অভিযোগ, সরবরাহ ঠিক থাকলেও রোজা ঘিরে লেবু, শসা, ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংস, ফলমূল, ইফতার পণ্য সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে ফলমূল, ইফতার পণ্য মেসের শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মেসের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে ও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান বাপ্পি বলেন, রোজার মাসে অন্যান্য দেশে ইফতার সামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে সবকিছুর দাম বাড়ে। রোজা শুরু আগে থেকে সবকিছুর দাম বেড়েছে। আমরা ছাত্রাবাসে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় থেকে কুষ্টিয়ায় পড়তে এসেছি। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। এজন্য আমরা ফলমূল বা চাহিদা অনুযায়ী ইফতার ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারি না। আজ ছোলা, মুড়ি, দুটো খেজুর, স্যালাইন ও পানি দিয়ে ইফতার করেছি। আমার পরিচিত অনেক ছাত্র ও বন্ধু বিভিন্ন মেসে থাকে। তারাও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারে না। এজন্য আমাদের মতো ছোলা মুড়ি দিয়ে ইফতার করে। রমজান মাসে সবকিছুর দাম কমানো ও নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।

 

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, আমরা ছোলা, মুড়ি ও স্যালাইন দিয়ে ইফতারি করি। সবকিছুর দাম বেশি। এজন্য মন চাইলেও ফলমূল ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না। সবকিছুর দাম বেশি। অতিরিক্ত দামের কারণে ইফতার সামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন মেসের ছাত্ররা। মেসের ছাত্রদের কষ্ট কেউ বুঝে না। অনেক কষ্ট করে মেসে থেকে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে মেসের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে।

 

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শরিফ হোসেন বলেন, আমরা যারা মেসে একসাথে থাকি, তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ১০ টাকার ছোলা মুড়ি এখন ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। রোজার আগে বয়লার মুরগির কেজি ছিলো ১৮০ টাকা, এখন তা বেড়ে ২৪০ টাকা। আগে তরমুজ আনারস পিস হিসাবে কম দামে কিনতাম। জিনিসপত্রের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এখন দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধি করে কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয় মেসের সবাই রোজা রাখি। আমরা মুড়ি ছোলা দিয়ে ইফতার করি। মন চাইলেও আমরা ফলমূল ও অন্যান্য ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না, খেতেও পারি না। এসব আমাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। সরকারের প্রশাসনের উচিৎ দামটা নিয়ন্ত্রণে আনা। কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

 

কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী আফসানা মিম বলেন, রোজার সময় ফলমূল সহ জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ফলমূল ও প্রয়োজনীয় ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না। মেসে আমরা ছোলা, মুড়ি ও শরবত দিয়ে ইফতারি করছি। আমাদের মতো অন্যান্য মেয়েদের মেসেও একই অবস্থা। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। অর্থের অভাবে ফলমূল কিনতে পারি না। এজন্য আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

 

শুক্রবার ইফতারের ১০ মিনিট আগে সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারা তলার একটি ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাসার নিচ তলায় চার রুম ভাড়া নিয়ে ১৫ জন ছাত্র মিলে একটা মেস গড়ে তুলেছে। রোজাদার ছাত্ররা ইফতার করার জন্য বসে আছে৷ তাদের সামনে কয়েকটি আলুর চপ, বেগুনি ও ছোট্ট একটা বাটিতে বুদিয়া রাখা। মুড়ি দিয়ে সেগুলো একটা বড় গামলায় মেশালেন। পানি দিয়ে স্যালাইনের শরবত বানালেন। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র সবার হাতে দুটি করে খেজুর দিলেন।

 

মসজিদের মাইকে ইফতারের ঘোষণার সাথে সাথে হাতে রাখা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করেন। পরে স্যালাইনের শরবত ও মুড়ি মাখানো খেয়ে ইফতার সম্পন্ন করলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি ফলে তাদের উপর প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত দামে ফলমূল, ইফতার পণ্য ও প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনতে পারছে না তারা। ফলে এভাবেই ইফতার করছেন। তাদের মতো অধিকাংশ মেসের শিক্ষার্থীরা ছোলা, মুড়ি, চপ, খেজুর দিয়ে ইফতার করেছেন বলে জানা গেছে।

 

কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের ছাত্র নাইম ইসলাম বলেন, আমি মেসে থাকি। ইফতারের সময় ফলমূল খেতে মন চায়। কিন্তু কিনতে পারি না। জিনিসপত্রের দাম খুব ঊর্ধ্বগতি। যে জিনিস ছিলো ২০ টাকা সে জিনিস ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমি বাজারে শসা কিনতে এসে দেখি ১০০ টাকা কেজি। তরমুজের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

 

ফলমূল ও প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র আমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মেসে অন্যান্য অনেক খরচ আছে আমাদের ৷ কারণ আমার বাবার ইনকাম বাড়েনি। আমাকেও বাবা নির্ধারিত টাকার বেশি দেয় না। মেসের ছাত্ররা সবাই আমার মতো সমস্যার মধ্যে পড়েছে। জন্য আমরা শুধু খেজুর দিয়ে ইফতার করি। ইফতারের সময় আমরা রাতের খাবারটা খেয়ে নিই। রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে আমরা বিপদে পড়ে যায়। সরকার জিনিসপত্রের দাম কমালে আমরা উপকৃত হবো।

 

 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় মেসের ব্যয় সামলাতে হিমশিম, ছোলা মুড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ইফতার

আপডেট টাইম : ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাসা ভাড়া নিয়ে পৃথকভাবে ছাত্রাবাস গড়ে তোলেন। শহরের মধ্যে অংসখ্য মেস রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব পড়েছে মেসের শিক্ষার্থীদের ওপর। রোজাদার শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত দামে ফলমূল, ইফতার পণ্য ও প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনতে পারছে না। অধিকাংশ মেসের শিক্ষার্থীরা ছোলা, মুড়ি, খেজুর দিয়ে ইফতার করেন।

 

তাদের অভিযোগ, সরবরাহ ঠিক থাকলেও রোজা ঘিরে লেবু, শসা, ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংস, ফলমূল, ইফতার পণ্য সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে ফলমূল, ইফতার পণ্য মেসের শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মেসের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে ও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান বাপ্পি বলেন, রোজার মাসে অন্যান্য দেশে ইফতার সামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে সবকিছুর দাম বাড়ে। রোজা শুরু আগে থেকে সবকিছুর দাম বেড়েছে। আমরা ছাত্রাবাসে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় থেকে কুষ্টিয়ায় পড়তে এসেছি। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। এজন্য আমরা ফলমূল বা চাহিদা অনুযায়ী ইফতার ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারি না। আজ ছোলা, মুড়ি, দুটো খেজুর, স্যালাইন ও পানি দিয়ে ইফতার করেছি। আমার পরিচিত অনেক ছাত্র ও বন্ধু বিভিন্ন মেসে থাকে। তারাও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারে না। এজন্য আমাদের মতো ছোলা মুড়ি দিয়ে ইফতার করে। রমজান মাসে সবকিছুর দাম কমানো ও নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।

 

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, আমরা ছোলা, মুড়ি ও স্যালাইন দিয়ে ইফতারি করি। সবকিছুর দাম বেশি। এজন্য মন চাইলেও ফলমূল ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না। সবকিছুর দাম বেশি। অতিরিক্ত দামের কারণে ইফতার সামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন মেসের ছাত্ররা। মেসের ছাত্রদের কষ্ট কেউ বুঝে না। অনেক কষ্ট করে মেসে থেকে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে মেসের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে।

 

বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শরিফ হোসেন বলেন, আমরা যারা মেসে একসাথে থাকি, তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ১০ টাকার ছোলা মুড়ি এখন ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। রোজার আগে বয়লার মুরগির কেজি ছিলো ১৮০ টাকা, এখন তা বেড়ে ২৪০ টাকা। আগে তরমুজ আনারস পিস হিসাবে কম দামে কিনতাম। জিনিসপত্রের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এখন দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধি করে কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয় মেসের সবাই রোজা রাখি। আমরা মুড়ি ছোলা দিয়ে ইফতার করি। মন চাইলেও আমরা ফলমূল ও অন্যান্য ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না, খেতেও পারি না। এসব আমাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। সরকারের প্রশাসনের উচিৎ দামটা নিয়ন্ত্রণে আনা। কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

 

কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী আফসানা মিম বলেন, রোজার সময় ফলমূল সহ জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ফলমূল ও প্রয়োজনীয় ইফতার সামগ্রী কিনতে পারি না। মেসে আমরা ছোলা, মুড়ি ও শরবত দিয়ে ইফতারি করছি। আমাদের মতো অন্যান্য মেয়েদের মেসেও একই অবস্থা। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। অর্থের অভাবে ফলমূল কিনতে পারি না। এজন্য আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

 

শুক্রবার ইফতারের ১০ মিনিট আগে সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারা তলার একটি ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাসার নিচ তলায় চার রুম ভাড়া নিয়ে ১৫ জন ছাত্র মিলে একটা মেস গড়ে তুলেছে। রোজাদার ছাত্ররা ইফতার করার জন্য বসে আছে৷ তাদের সামনে কয়েকটি আলুর চপ, বেগুনি ও ছোট্ট একটা বাটিতে বুদিয়া রাখা। মুড়ি দিয়ে সেগুলো একটা বড় গামলায় মেশালেন। পানি দিয়ে স্যালাইনের শরবত বানালেন। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র সবার হাতে দুটি করে খেজুর দিলেন।

 

মসজিদের মাইকে ইফতারের ঘোষণার সাথে সাথে হাতে রাখা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করেন। পরে স্যালাইনের শরবত ও মুড়ি মাখানো খেয়ে ইফতার সম্পন্ন করলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি ফলে তাদের উপর প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত দামে ফলমূল, ইফতার পণ্য ও প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনতে পারছে না তারা। ফলে এভাবেই ইফতার করছেন। তাদের মতো অধিকাংশ মেসের শিক্ষার্থীরা ছোলা, মুড়ি, চপ, খেজুর দিয়ে ইফতার করেছেন বলে জানা গেছে।

 

কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের ছাত্র নাইম ইসলাম বলেন, আমি মেসে থাকি। ইফতারের সময় ফলমূল খেতে মন চায়। কিন্তু কিনতে পারি না। জিনিসপত্রের দাম খুব ঊর্ধ্বগতি। যে জিনিস ছিলো ২০ টাকা সে জিনিস ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমি বাজারে শসা কিনতে এসে দেখি ১০০ টাকা কেজি। তরমুজের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

 

ফলমূল ও প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র আমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মেসে অন্যান্য অনেক খরচ আছে আমাদের ৷ কারণ আমার বাবার ইনকাম বাড়েনি। আমাকেও বাবা নির্ধারিত টাকার বেশি দেয় না। মেসের ছাত্ররা সবাই আমার মতো সমস্যার মধ্যে পড়েছে। জন্য আমরা শুধু খেজুর দিয়ে ইফতার করি। ইফতারের সময় আমরা রাতের খাবারটা খেয়ে নিই। রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে আমরা বিপদে পড়ে যায়। সরকার জিনিসপত্রের দাম কমালে আমরা উপকৃত হবো।

 

 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।