কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক দাবি করা নিহত আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২)কে বিএনপি নেতা দাবি করে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞ থেমে নেই উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম নান্নুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে কুমারখালী উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামে একটি কলাবাগান থেকে আমিরুলের হত্যা করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নৌকা প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ নিহত নান্নুকে তার সমর্থক দাবি করে। তিনি তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থকরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন।
- আরও পড়ুনঃ তানোর পোস্ট অফিসের কোটি টাকা গায়েব
এ ঘটনায় নিহতের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে রাতেই প্রতিপক্ষের কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে অন্তত তিনটি বাড়ি ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে ষড়যন্ত্র করে তার সমর্থকদের নান্নু হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ। গত রোববার বেলা ৩টায় কুমারখালী উপজেলার গোডাউন মোড়ে অবষ্থি’ত উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বরাত দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি নিহত নান্নুকে বিএনপি নেতা দাবি করে জানান, আমার নির্বাচনী এলাকায় একজন খুন হয়েছেন।
প্রিন্ট