রমজানে খাদ্যপণ্যের বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অতি মুনাফা লুটতে তৎপর হয়ে ওঠে একশ্রেণির ব্যবসায়ী।
ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমের আদেশক্রমে অদ্য ১ম রমজান থেকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন বাজার তদারকি করেন আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা।
তারই ধারাবাহিকতায় আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে শনিবার সকালে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে বিভিন্ন দোকানে তদারকি করা হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা বাস্তবায়নে আমরা রমজান মাস উপলক্ষে বাজার তদারকি করছি।
রমজানকে বলা হয় সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। অথচ এ মাসেই বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম অধিক বেড়ে যায়। ফলে অসাধু ব্যবসাীরা রমজানের আগেই এসব পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ খুঁজতে পারে।
এটি দুর্ভাগ্যজনক। তাই রজমানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে আমাদের এ বাজার তদারকি কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায় মুনাফা অর্জন একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে নৈতিকতাহীন কর্মকা- সমর্থনযোগ্য নয়। ব্যবসায়ীরা সৎ ও আন্তরিক হলে বছরের অন্যান্য মাস তো বটেই,রমজান মাসেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় থাকতে পারে। রমজান সামনে রেখে বাজার তদারকির যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তা ফলপ্রসূ হবে এটাই আমি প্রত্যশা করি। এবার যেন তেমনটি না হয় সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর পাশা-পাশি আমরা স্থানীয় থানা পুলিশ আরও বেশি তৎপর হবো ।এ ব্যাপারে সতর্কতা ও কঠোরতার বিকল্প নেই আমি মনে করি।
তিনি সকল ব্যবসায়ীকে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যর দাম অধিক বৃদ্ধি না করার জন্য অনুরোধ করেন। বাজার তদারকিতে ওসি (তদন্ত) শামিনুল হকসহ আলফাডাঙ্গা থানার অনেক পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট