ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর। বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সেজন্য রমজান শুরুর আগ থেকেই দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ইফতারে বহুল ব্যবহৃত দুই ধরনের খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এ দামে খেজুর বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা।

 

বুধবার (১৩ মার্চ) সরকার অতি সাধারণ খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিন দেখা যায় ভেড়ামারা শহরের বাজারে বাস ষ্ট্যান্ড, কলেজ বাজার,কাের্চ ষ্ট্যান্ড, মধ্য বাজার, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম থেকে বেশি দামে খেজুর বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। উক্ত বাজারে সরকারের এ নির্দেশনা মেনে চলার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে খেজুর বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিম্নমানের (গালা) বাংলা খেজুর ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুরই নেই। মাঝারি মানের খেজুর কিনতেও গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুর হিসেবে পরিচিত বাংলা খেজুর দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে বাংলা গালা খেজুর ২২০ টাকা দামে।

 

জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে অন্তত ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

 

বাস ষ্ট্যান্ড বাজারের খেজুর ব্যবসায়ী  আমিরুল ইসলাম জানান, এভাবে দাম বেঁধে দেয়া ঠিক হয়নি। দাম বেঁধে না দিয়ে সরকার টিসিবির মাধ্যমে খেজুর আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর

আপডেট টাইম : ১০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর। বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সেজন্য রমজান শুরুর আগ থেকেই দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ইফতারে বহুল ব্যবহৃত দুই ধরনের খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এ দামে খেজুর বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা।

 

বুধবার (১৩ মার্চ) সরকার অতি সাধারণ খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিন দেখা যায় ভেড়ামারা শহরের বাজারে বাস ষ্ট্যান্ড, কলেজ বাজার,কাের্চ ষ্ট্যান্ড, মধ্য বাজার, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম থেকে বেশি দামে খেজুর বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। উক্ত বাজারে সরকারের এ নির্দেশনা মেনে চলার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে খেজুর বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিম্নমানের (গালা) বাংলা খেজুর ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুরই নেই। মাঝারি মানের খেজুর কিনতেও গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুর হিসেবে পরিচিত বাংলা খেজুর দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে বাংলা গালা খেজুর ২২০ টাকা দামে।

 

জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে অন্তত ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

 

বাস ষ্ট্যান্ড বাজারের খেজুর ব্যবসায়ী  আমিরুল ইসলাম জানান, এভাবে দাম বেঁধে দেয়া ঠিক হয়নি। দাম বেঁধে না দিয়ে সরকার টিসিবির মাধ্যমে খেজুর আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।