ফরিদপুরের সালথায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা ভাতিজার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত্য ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার ৩০ নভেম্বর সকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের মৌলভীপাড়া নতুন বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। পুুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে উত্তেজনা চলছিলো। এরই সুত্রধরে সোমবার সকাল ৭ টার দিকে ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য, সাবেক চেয়ারম্যান ও যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যার সমর্থক আক্কাস মোল্যার সাথে রব মোল্যার সহদর ভাই আব্দুল হক মোল্যার ছেলে কাইয়ুম মোল্যার সমর্থক লালন এর সাথে মৌলভী পাড়া নতুন বাজারে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কী-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে রব মোল্যা এগিয়ে গেলে তার উপরে হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে তার কয়েকটি দাঁত ভেঙ্গে গুরুত্বর হয় সে।
অন্যন্য আহতরা হলো সাহিদ মোল্যা (৩৫) সাহাদাৎ (৫২),সাগর মোল্যা (২২),বিপুল শেখ (৪০), নাজিরুল ( ৩৮), নয়ন (২৮), মুরাদ কাজী (৪৫), সানোয়ার মোল্যা, আশরাফ ভূইয়া, মিলু মোল্যাসহ গুরুত্বর আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আব্দুর রব মোল্যার ছেলে লিপন মোল্যা বলেন, আমরা এলাকায় সাধারন লোকজন নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতেছিলাম। আমার চাচাতো ভাই কাইয়ুম মোল্যা দেশের বাহিরে ছিলো এখন তিনি দেশে এসে এলাকায় দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এলাকার কয়েকজন অসাধু লোক তার সঙ্গ দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। ঘটনার দিন ও তার ব্যতিক্রম হয়নি কাইয়ুম এর সমর্থক লালন বিশ্বাস আমাদের সমর্থক আক্কস মোল্যাকে সামনে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলো এবং বিভিন্ন উসকানি মূলক কথা বলছিলো তার জবাব দেওয়াতে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
কাইয়ুম মোল্যা অভিযোগ অস্বীকার বলেন, আমার চাচা ও চাচাতো ভাইদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ আমার বাবাকে তারা কোনঠাসা করে রাখতো সব সময়। আমি বাড়িতে আসলে এলাকার নির্যাতিত লোকজন আমাকে সাপোর্ট করে তাদের নেতৃত্ব দিতে সুযোগ দেয়।
এলাকার সাধারন জনতা আমার সাথে আছে আমিও তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি মাত্র। এলাকায় আমি দাঙ্গা সৃষ্টি করিনি বরং আমার চাচা রব মোল্যা ত্রাস সৃস্টি করে রাখছিলো এতো কাল। আমি এখন এর প্রবিাদ করছি মাত্র। ঘটনার দিন আমার সমর্থক লালন বিশ্বাস কিছুই বলেনি আক্কাস মোল্যাকে অহেতুক আমার চাচা রব মোল্যার কাছে নালিশ করে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রিন্ট