ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ Logo লালপুরে দিবালোকে ভ্যানচালক হত্যার ঘটনায় আটক ২ Logo গোমস্তাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo তানোরে প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে মতবিনিময় Logo মধুখালীতে এম এম একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরণ Logo পদ্মা নদীতে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করলেন ইউএনও Logo গোয়ালন্দে রাস্তার কাজের ধীরগতিতে জনগণের চরম ভোগান্তিঃ স্থানীয় এলাকাবাসীদের মানববন্ধন Logo আন্তরিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করুনঃ -জেলা প্রশাসক মিজ সুলতানা আক্তার Logo দেশ নায়ক তারেক রহমানের ভালোবাসায় এ গণসংবর্ধনাঃ -মোস্তাফিজুর রহমান দিপু Logo ঠাকুরগাঁওয়ে সাদরে সংবর্ধিত হলেন ড.শামারুহ্ মির্জা ও ড. ফাহাম আব্দুস সালাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আইনি জটিলতায় বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া

সাজাপ্রাপ্ত কারো বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার নজির না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার দেশের বাহিরে চিকিৎসার বিষয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন মতামত দিয়েছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার সকালে মতামত দেন আইনমন্ত্রী। পরে তা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে বিএনপি প্রধানকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না শর্তে উল্লেখ করা হয়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।

গত সোমবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনপি প্রধানের উন্নত চিকিৎসা করাতে বিদেশে নেয়ার জন্য গত বুধবার সরকারের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। ওইদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া আর কোনো দেশে যাননি।

যদিও আবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন সরকার আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিষয়টি নিয়ে সরকার আন্তরিক বলে দাবি করেছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ

error: Content is protected !!

আইনি জটিলতায় বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
ডেস্ক রিপোর্টঃ :

সাজাপ্রাপ্ত কারো বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার নজির না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার দেশের বাহিরে চিকিৎসার বিষয়ে নেতিবাচক মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন মতামত দিয়েছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার সকালে মতামত দেন আইনমন্ত্রী। পরে তা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে বিএনপি প্রধানকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না শর্তে উল্লেখ করা হয়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।

গত সোমবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনপি প্রধানের উন্নত চিকিৎসা করাতে বিদেশে নেয়ার জন্য গত বুধবার সরকারের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। ওইদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া আর কোনো দেশে যাননি।

যদিও আবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন সরকার আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিষয়টি নিয়ে সরকার আন্তরিক বলে দাবি করেছিলেন।


প্রিন্ট