ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামায আদায় Logo তানোরে দীঘি পুনঃখনন নিয়ে উত্তজনা Logo ফরিদপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ Logo ভেড়ামারায় বৃষ্টির প্রার্থনায় হাজারো মুসল্লির কান্না Logo আলফাডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় Logo দৌলতপুরে বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo চট্রগ্রামের মহানগরে জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনের গনসংযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালেন অসাধু বালু খেকোররা

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ব্রীজ থেকে রাতের আঁধারে ধলেশ্বরী নদীতে বেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ অসাধু চার বালি খেকোর বিরুদ্ধে। ফসলি জমি ও ফসল নষ্ট করে ডাভার্শন বানিয়ে ছয় চাকার ড্রাম টাক দিয়ে নদী থেকে বালু বিক্রি করে চার অসাধু বালু খেকোরা। বালু উত্তোলনের কারনে কেদারপুর শেখ হাসিনা ব্রীজ ও ফসলের জমি ধ্বংসের মুখে, সেই সাথে বসত বাড়ি ধ্বংস করছেন বালু খেকোরা এমনটাই বলে থাকেন সাধারণ জনগণ।
নদীতে বেকু বসানোর মূল হোতা স্থানীয় চার বালুখের মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফ মিয়া,  মোঃ জহিরুল আহমেদ সহ অজ্ঞাত রয়েছে আরও কয়েক জন বলে জানান এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ধলেশ্বরী নদীর বেহাল অবস্থা। গ্রামবাসীরা বলেন বালু কাটা বন্ধ না করলে আমাদের প্রাণ শেখ হাসিনা কেদারপুর ব্রীজ, ফসলী জমি ও বসত বাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়ে যাব এমনটাই বলেন গ্রামবাসীরা।
মুঠোফোনে মোজনা  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, বালু খেকোদের বিরুদ্ধে  নাগরপুর উপজেলায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করেছেন তারপরও থামছে না বালু খোরদের দৌরাত্তা। গ্রামবাসীরা বলেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভরা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না।
সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে বেকু বন্ধ করার পরও থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
ফরিদ মিয়াকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ মিয়া বলে, নিজের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি কাটার কোন অনুমতি লাগে না। পুলিশ সুপার ও ইউএনও এবং জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কোন পারমিশন লাগে না বলে জানান ফরিদ মিয়া।
সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ফোনে হুমকি দেন অসাধু বালু খেকো খোরশেদ আলম। তাদের খুঁটির জোর কোথায় (!) এমন প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন রাতের আধারে। ক্ষমতার দাপটে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না এলাকাবাসী।
খোরশেদের ভাই কাশেমের সাথে ফোন কথা বলে আরো কিছু চঞ্চল্যকর কথা উঠে আসে কাসেম মিয়ার বক্তব্যে।
জানতে চাইলে কাসেম মিয়া বলেন, আমারা পুরাটাই অবৈধ ব্যবসা করে থাকি। আমরা তিনটি বালু ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করি; তার কথাতেই উঠে আসে কাসেম মিয়ার ছোট ভাই খোরশেদ আলমের কথা। খোরশেদ আলমের অবৈধ বালুর ব্যবসা আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কায়সার এর সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামায আদায়

error: Content is protected !!

সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালেন অসাধু বালু খেকোররা

আপডেট টাইম : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ব্রীজ থেকে রাতের আঁধারে ধলেশ্বরী নদীতে বেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ অসাধু চার বালি খেকোর বিরুদ্ধে। ফসলি জমি ও ফসল নষ্ট করে ডাভার্শন বানিয়ে ছয় চাকার ড্রাম টাক দিয়ে নদী থেকে বালু বিক্রি করে চার অসাধু বালু খেকোরা। বালু উত্তোলনের কারনে কেদারপুর শেখ হাসিনা ব্রীজ ও ফসলের জমি ধ্বংসের মুখে, সেই সাথে বসত বাড়ি ধ্বংস করছেন বালু খেকোরা এমনটাই বলে থাকেন সাধারণ জনগণ।
নদীতে বেকু বসানোর মূল হোতা স্থানীয় চার বালুখের মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফ মিয়া,  মোঃ জহিরুল আহমেদ সহ অজ্ঞাত রয়েছে আরও কয়েক জন বলে জানান এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ধলেশ্বরী নদীর বেহাল অবস্থা। গ্রামবাসীরা বলেন বালু কাটা বন্ধ না করলে আমাদের প্রাণ শেখ হাসিনা কেদারপুর ব্রীজ, ফসলী জমি ও বসত বাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়ে যাব এমনটাই বলেন গ্রামবাসীরা।
মুঠোফোনে মোজনা  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, বালু খেকোদের বিরুদ্ধে  নাগরপুর উপজেলায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করেছেন তারপরও থামছে না বালু খোরদের দৌরাত্তা। গ্রামবাসীরা বলেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভরা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না।
সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে বেকু বন্ধ করার পরও থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
ফরিদ মিয়াকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ মিয়া বলে, নিজের বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি কাটার কোন অনুমতি লাগে না। পুলিশ সুপার ও ইউএনও এবং জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কোন পারমিশন লাগে না বলে জানান ফরিদ মিয়া।
সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ফোনে হুমকি দেন অসাধু বালু খেকো খোরশেদ আলম। তাদের খুঁটির জোর কোথায় (!) এমন প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন রাতের আধারে। ক্ষমতার দাপটে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না এলাকাবাসী।
খোরশেদের ভাই কাশেমের সাথে ফোন কথা বলে আরো কিছু চঞ্চল্যকর কথা উঠে আসে কাসেম মিয়ার বক্তব্যে।
জানতে চাইলে কাসেম মিয়া বলেন, আমারা পুরাটাই অবৈধ ব্যবসা করে থাকি। আমরা তিনটি বালু ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করি; তার কথাতেই উঠে আসে কাসেম মিয়ার ছোট ভাই খোরশেদ আলমের কথা। খোরশেদ আলমের অবৈধ বালুর ব্যবসা আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কায়সার এর সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।