পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজে (সদ্য জাতীয়করণকৃত) ভুয়া সনদে ৫ বছর চাকরি করায় বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। কলেজটি জাতীয়করণ হওয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ে তার নিবন্ধন সনদ ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আঃ মজিদ বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন,যার মামলা নং-২২,তাং ২৬ নভেম্বর’২০২০। কলেজটি ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হয়। কলেজটি জাতীয়করণ ঘোষণার পর সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি পাঠানো হয় এনটিআরসিএতে।
সনদ যাচাইয়ে কলেজের অনার্স শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে অতিসম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনটিআরসি সনদ যাচাই সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য। সম্পূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে মোঃ নাসির উদ্দিন ২০১৫ সালে প্রভাষক পদে কলেজের অনার্স শাখায় নিয়োগ লাভ করেন।
যদিও তিনি এমপিওভুক্ত হননি। চাটমোহর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আঃ মজিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাটমোহর থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, চাটমোহর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আঃ মজিদ অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
প্রিন্ট