নানান রকমের ফুলে ফুলে সেজেছে গোপালগঞ্জ সদর থানার আঙিনা। থানাপাড়া এলাকা জুড়ে ছড়াচ্ছে শোভা। পূর্বের যে কোন সময়ে তুলনায় বর্তমান থানা এরিয়ার ভিতরে ভিন্ন রকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
থানায় সেবা নিতে আসা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে থানা আঙিনায় স্থাপন করা ফুল বাগান, থানার মুল ভবন, চারপাশের সুন্দর পরিবেশ ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এর ভালো ব্যবহারের প্রশংসনীয় আলোচনা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের মুখে থানার সৌন্দর্য ও অফিসার ইনচার্জের প্রশংসার সূত্র ধরে আমাদের সময়ের প্রত্যশা পত্রিকার একটি প্রতিনিধি দল থানা এরিয়া পরিদর্শন করেন। এসময় থানা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায় ফুল বাগানের পাশাপাশি থানা এরিয়ার ফাঁকা যায়গায় করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির বাগান। থানার পুকুর সংস্কার করে করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস চাষ। এছাড়াও অফিসার ইনচার্জের রুমে ঢুকতেই দেখা যায় আমূল পরিবর্তন। বুক সেলফ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী। অন্যান্য তাকে শোভা পেয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির কাপড়ের ফুল ও শো-পিচ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টর ও সহকারি সাব ইন্সপেক্টর সময়ের প্রত্যশা কে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার পূর্বের যে কোন অফিসার ইনচার্জের তুলনায় বর্তমান (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান স্যারের রুচি, স্বচ্ছতা ও সততা প্রশংসার দাবি রাখে। তারা আরো বলেন, ওসি স্যার থানায় কর্মরত সকলের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করেছেন নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার ব্যুরো প্রধান মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন কে বলেন, সকল মানুষেরই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালো লাগে, তবে আমি শুধু প্রশংসার জন্য থানা এলাকার পরিবেশ সুন্দর করিনি। আমার দায়িত্ব কর্তব্য ও রুচিশীলতার দায়বদ্ধতা থেকেই করেছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে থানা ভবনের ছাদে ফুল ও ফল বাগান তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে। সদর থানায় যতদিন কর্মরত থাকি পুলিশি সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষদের সেবা করতে চাই।
প্রিন্ট