ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে অবৈধ কয়লা কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo মধুখালীতে বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাণ গেলো মেয়ের, আহত ২ জন Logo সদরপুরে ১০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo ফরিদপুরে নয় দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo ১৪ই মে কালুরঘাট নতুন সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস Logo চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার Logo ফুলবাড়ীতে RUNNER EXPRESS এর স্বপ্ন অটো শোরুম উদ্বোধন Logo তানোরের হাটবাজারে অপরিপক্ব লিচু দাম আকাশছোঁয়া Logo রাজশাহীতে মোবাইল কোর্টে ৩ জন বালাইনাশক ব্যবসায়ীকে জরিমানা Logo সুইসাইড নোটে লেখা ‘আমার মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে’
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফায়ার সার্ভিস দৌলতপুরে না থাকায় প্রতিদিনই পুড়ে ছাই হচ্ছে মানুষের স্বপ্ন

বাংলাদেশের একটি বৃহৎ উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। ভারতের সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটি ১৪ টি ইউনিয়ন এটি গঠিত। এখানে রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত।

১৯৮৩ সালে ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দৌলতপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বৃহৎ উপজেলাটিতে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অত্যন্ত ঘনবসতীর এই উপজেলাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মিল কারখানা। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের।

উপজেলাটিতে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মিল কারখানা গুলিতে মাঝে মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আর এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের যান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এক নিমেষেই পুড়ে শেষ হয়ে যাই মানুষের স্বপ্ন। এসব অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসতে আসতেই সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর আগে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজও বৃহৎ এই উপজেলাটিতে নির্মিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস।

এত বছরেও ফায়ার সার্ভিস নির্মিত না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে জায়গা জমি নির্ধারণ না হওয়া। অবশেষে গতবছর জমির জটিলতার অবসান ঘটে। গত ২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিক পাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়ের সাদ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বানু তার বসতবাড়ির ৮২ শতাংশ জায়গা ফায়ার সার্ভিসকে দান করেছেন। জমিদাতা এই নিঃসন্তান হাসিনা বানুর দাবি, তার মৃত্যুর আগেই যেন তার বসত ভিটাতে নির্মিত হয় ফায়ার সার্ভিস। হাসিনা বানুর পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনটি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাটির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ জানান, ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় দৃশ্যমান হবে অবকাঠামো।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের জন্য অলরেডি জনবলও নিয়োগ দেওয়া আছে। বর্তমানে এটি সরকারের দুই নম্বার প্রকল্পে আছে, একনেকে পাস হলেই অবকাঠাম দৃশ্যমান হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বোয়ালমারীতে অবৈধ কয়লা কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

error: Content is protected !!

ফায়ার সার্ভিস দৌলতপুরে না থাকায় প্রতিদিনই পুড়ে ছাই হচ্ছে মানুষের স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

বাংলাদেশের একটি বৃহৎ উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। ভারতের সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটি ১৪ টি ইউনিয়ন এটি গঠিত। এখানে রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত।

১৯৮৩ সালে ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দৌলতপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বৃহৎ উপজেলাটিতে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অত্যন্ত ঘনবসতীর এই উপজেলাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মিল কারখানা। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের।

উপজেলাটিতে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মিল কারখানা গুলিতে মাঝে মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আর এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের যান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এক নিমেষেই পুড়ে শেষ হয়ে যাই মানুষের স্বপ্ন। এসব অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসতে আসতেই সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর আগে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজও বৃহৎ এই উপজেলাটিতে নির্মিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস।

এত বছরেও ফায়ার সার্ভিস নির্মিত না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে জায়গা জমি নির্ধারণ না হওয়া। অবশেষে গতবছর জমির জটিলতার অবসান ঘটে। গত ২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিক পাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়ের সাদ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বানু তার বসতবাড়ির ৮২ শতাংশ জায়গা ফায়ার সার্ভিসকে দান করেছেন। জমিদাতা এই নিঃসন্তান হাসিনা বানুর দাবি, তার মৃত্যুর আগেই যেন তার বসত ভিটাতে নির্মিত হয় ফায়ার সার্ভিস। হাসিনা বানুর পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনটি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাটির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ জানান, ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় দৃশ্যমান হবে অবকাঠামো।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের জন্য অলরেডি জনবলও নিয়োগ দেওয়া আছে। বর্তমানে এটি সরকারের দুই নম্বার প্রকল্পে আছে, একনেকে পাস হলেই অবকাঠাম দৃশ্যমান হবে।


প্রিন্ট