বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসসহ পাঁচটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। কি পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানির করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ ও চিনি রফতানির অনুমতি দিতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিলো বাংলাদেশ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করে। দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি ও সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ভারতের এ সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম উর্দ্ধমুখী হয়।
ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে আশানুরূপ ফল না পেয়ে পেঁয়াজ রফতানি সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ করে তারা। প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় রফতানিকৃত প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
এদিকে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতির বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক উদ্দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি নয়াদিল্লি।
প্রিন্ট