ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেউলী গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায় করতে এসে বাড়িতে থাকা নারীদের সাথে বাকবিতান্ডা বাধিয়ে শ্লীতহানীর প্রতিবাদ করায় এলাকাবাসির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন পল্লি অফিসের এজিএম।
এ ঘটনায় জেরে দেউলী গ্রামের জাকির শেখের স্ত্রী তুষা বেগম বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুত অফিসের চার জনের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন আলফাডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত অফিসের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রহমান, ওয়্যারিং পরিদর্শক মো.আব্দুল হাই, লাইনম্যান গ্রেড-১, অনন্ত কুমান মহন্ত ও নিরাপত্তা প্রহরী মো.সাইফুল হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেওলী গ্রামের চা বিক্রেতা জাকির হোসেন নামে একটি মিটর রয়েছে যাহার নম্বর ০০১২৮৩৬। করোনাভাইরাসের লকডাউনে জাকির হোসেনের ব্যবসা বন্ধ থাকায় চার মাসের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হয়।
গত ৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তরা বাড়িতে এসে বৈদ্যুতিক মিটার বিছিন্ন করার প্রস্তুতি নেয়। ওই দিন সকালে জাকির হোসেন আলফাডাঙ্গা উক্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করতে আলফাডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুত অফিসে গিয়েছে সে কথা বলার পরেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাতে যায়।
এসময় জাকিরের স্ত্রী তার এক বছরের শিশু সন্তান নিয়েবিনয়ের সাথে কথা বলতে গেলে তাহারা ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। বিশ্রি ভাষায় গালি দেয় পরনের কাপড় টান দিয়ে শ্লীতহানির ঘটনা ঘটায়।
ওই নারীর শোচিৎকার দিলে প্রতিবেশী মো. মাসুদুল বারী এগিয়ে এসে ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেখিয়ে মামলার ভয় দেখায় এবং এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে পল্লি বিদ্যুতের এজিএম প্রকৌশলী মেরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে মো. মাসুদুল বারি ও নাহিদুল বারির বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুত অফিসের এজিএম মেরাজুল ইসলামকে ০১৭৬৯৪০৭৫৬৫ এই নম্বারে একাদিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিপ করেন নাই।
বোয়ালমারী ওসি মো.নূর আলম জানান, পল্লি বিদ্যুত কর্তৃক মামলা হয়েছে সেই সাথে গ্রাহকের পক্ষ থেকে এক নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।