ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিল উন্মুক্তকরণ ও ইট ভাটা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী  মোহনপুরের রায়ঘাটি ইউনিয়নের (ইউপি) বিলহিন্না উন্মুক্তকরণ ও অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সচেতন এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলা চত্বরে এই  মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এদিন মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরঞ্জিত সরকার, কেশরহাট পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম, রায়ঘাটি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সূর্য্যকান্ড হালদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদাস চন্দ্র হালদার, ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজের আলী,  কৃষক লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফটিক চন্দ্র হারদারসহ প্রায় শাতাধিক এলাকাবাসি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দাকা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডলের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার হাটরাকালিতলা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পার্শে একই স্থানে দুটি অবৈধ ইট ভাটা করে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার পরিবেশ দূষণ। এছাড়াও  আম, পান কাঁঠাল, ডাব-নারিকেলসহ ফসলী জমির সব ধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। এমনকি ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি (টপসয়েল) ইট তৈরীতে ব্যবহার এবং তাদের অবৈধ টাক্টারে করে কাদা-মাটি বহন করে মহাসড়কে কাদা-মাটি ফেলে চলাচলের প্রায় অযোগ্য করে।  এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।
এসব অবৈধ ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে গাছ-পালার খড়ি ব্যবহার করে যা প্রকৃতির জন্য হুমকি। আবার ভাটার ইটের পরিমাপ সঠিক নয়। তাই কৃষক বাঁচাতে ও পরিবেশের দূষণ রোধে অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের কোনো বিকল্প নাই। স্থানীয়রা জানান, খলিলুর রহমান একজন ভুমিগ্রাসী।তিনি ইউপির বিভিন্ন এলাকায় শত শত বিঘা ফসলী জমি ধ্বংস করে অবৈধ পুকুর খনন করেছেন। তার কারণে শত শত কৃষি শ্রমজীবী পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কেউ কেউ কর্মের সন্ধানে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আমরা রায়ঘাটী ইউনিয়নের (ইউপি) বিলপোন ও বিলহিন্না বিলের প্বার্শবর্তী পারিলাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবি দীর্ঘ ৭ বছর যাবত আমাদের বিলে মাছ আহরণ করতে নামতে পারি নাই। কারন আমাদের এলাকার সাবেক এমপিআয়েন উদ্দীনের দোষর দখলবাজ খলিলের বিল দখল ও অত্যাচারের কারনে আমরা মৎস্যজীবিরা অসহায় জীবন যাপন করছি। এই খলিলুর রহমান সাবেক এমপি আয়েন উদ্দীনের প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সেজে খোলাগছি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি হয়ে সমিতিটি রেজিষ্ট্রেশন করে। এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি খলিলুর প্রভাব খাটিয়ে তার সমিতির অনকূলে বিলপোন ও বিলহিন্না বিলটি প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বঞ্চিত করে লীজ গ্রহণ করে ও বিলটি থেকে আমাদের মৎস্যজীবিদের বিতাড়িত করে। লীজের শর্তের কোনটিই এই ভূয়া লীজ গ্রহিতা খলিলুর মানে নাই।
সুতরাং এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অধিকার নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা   বলেন, অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদ করা না হলে, এলাকার মানুষ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এম.আর.এ. বিকস ভাটার মালিক রমজান আলী বলেন, আমার ইট ভাটার বৈধ কাগজ পত্র আছে। যে ইট ভাটার গুলোর কাগজ পত্র নাই। সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

বিল উন্মুক্তকরণ ও ইট ভাটা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী  মোহনপুরের রায়ঘাটি ইউনিয়নের (ইউপি) বিলহিন্না উন্মুক্তকরণ ও অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সচেতন এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলা চত্বরে এই  মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। এদিন মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরঞ্জিত সরকার, কেশরহাট পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম, রায়ঘাটি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সূর্য্যকান্ড হালদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদাস চন্দ্র হালদার, ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজের আলী,  কৃষক লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফটিক চন্দ্র হারদারসহ প্রায় শাতাধিক এলাকাবাসি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দাকা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডলের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার হাটরাকালিতলা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পার্শে একই স্থানে দুটি অবৈধ ইট ভাটা করে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার পরিবেশ দূষণ। এছাড়াও  আম, পান কাঁঠাল, ডাব-নারিকেলসহ ফসলী জমির সব ধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। এমনকি ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি (টপসয়েল) ইট তৈরীতে ব্যবহার এবং তাদের অবৈধ টাক্টারে করে কাদা-মাটি বহন করে মহাসড়কে কাদা-মাটি ফেলে চলাচলের প্রায় অযোগ্য করে।  এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।
এসব অবৈধ ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে গাছ-পালার খড়ি ব্যবহার করে যা প্রকৃতির জন্য হুমকি। আবার ভাটার ইটের পরিমাপ সঠিক নয়। তাই কৃষক বাঁচাতে ও পরিবেশের দূষণ রোধে অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের কোনো বিকল্প নাই। স্থানীয়রা জানান, খলিলুর রহমান একজন ভুমিগ্রাসী।তিনি ইউপির বিভিন্ন এলাকায় শত শত বিঘা ফসলী জমি ধ্বংস করে অবৈধ পুকুর খনন করেছেন। তার কারণে শত শত কৃষি শ্রমজীবী পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কেউ কেউ কর্মের সন্ধানে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আমরা রায়ঘাটী ইউনিয়নের (ইউপি) বিলপোন ও বিলহিন্না বিলের প্বার্শবর্তী পারিলাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবি দীর্ঘ ৭ বছর যাবত আমাদের বিলে মাছ আহরণ করতে নামতে পারি নাই। কারন আমাদের এলাকার সাবেক এমপিআয়েন উদ্দীনের দোষর দখলবাজ খলিলের বিল দখল ও অত্যাচারের কারনে আমরা মৎস্যজীবিরা অসহায় জীবন যাপন করছি। এই খলিলুর রহমান সাবেক এমপি আয়েন উদ্দীনের প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সেজে খোলাগছি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি হয়ে সমিতিটি রেজিষ্ট্রেশন করে। এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি খলিলুর প্রভাব খাটিয়ে তার সমিতির অনকূলে বিলপোন ও বিলহিন্না বিলটি প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বঞ্চিত করে লীজ গ্রহণ করে ও বিলটি থেকে আমাদের মৎস্যজীবিদের বিতাড়িত করে। লীজের শর্তের কোনটিই এই ভূয়া লীজ গ্রহিতা খলিলুর মানে নাই।
সুতরাং এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অধিকার নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা   বলেন, অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদ করা না হলে, এলাকার মানুষ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এম.আর.এ. বিকস ভাটার মালিক রমজান আলী বলেন, আমার ইট ভাটার বৈধ কাগজ পত্র আছে। যে ইট ভাটার গুলোর কাগজ পত্র নাই। সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট