বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহকারী মহাসচিব, দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মহিদুল ইসলাম মন্টু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রজিউন)। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে চৌগাছা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে নিজস্ব বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। স্ত্রী, এক পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
সাংবাদিক নেতা মহিদুল ইসলাম মন্টুর মৃত্যুর খবর শুনে যশোরের সাংবাদিক সমাজ শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন। যশোরে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা যশোর থেকে ছুটে যান তার গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামে।
মহিদুল ইসলাম মন্টু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকরুদ্ধ অবস্থায় নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মহিদুল ইসলাম মন্টুর মৃত্যুতে যশোরে সাংবাদিক সংগঠনগুলো শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
প্রেসক্লাব যশোরের জ্যেষ্ঠ সদস্য মহিদুল ইসলাম মন্টুর সাংবাদিকতা জীবনে রয়েছে এক বর্ণাঢ্য ইতিহাস। সাংবাদিকদের রুটি- রুজি এবং যৌক্তিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তিনি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) যশোর জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘জীবন স্রোত’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর ও যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এসব সংগঠনগুলোতে তিনি সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার দায়িত্বশীল পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ন মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে মহিদুল ইসলাম মন্টুকে।
প্রিন্ট