র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের একটি দল পাবনার চাটমোহর রেলষ্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেলের টিকিট কালোবাজারির চক্রের ছয়জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো অমৃতকুন্ডা এলাকার নুুরুল ইসলামের ছেলে চক্রের মূলহোতা শরিফুল (৩৩) তার ভাই আরিফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান (২৮) মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও পূর্ব টিয়ারতলা এলাকার হাবিবুর রহমান (২২)।
পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডর মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, চাটমোহর রেলস্টেশনে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর ষ্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকাগামী “সিল্কসিটি এক্সপ্রেস,পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর টু ঢাকা গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডর মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দিন ব্যাপী চাটমোহর রেলষ্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালোবাজারি চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি আসনের টিকেট, সাতটি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা চাটমোহর রেলস্টেশনে সিন্ডিকেটের মূলহোতা শরিফুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত রেলস্টেশনের কুলি, টোকাই, রিক্সাওয়ালা ও দিনমজুরদেরকে লাইনে দাড় করিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতো। চারটি করে টিকেট সংগ্রহ করার বিনিময়ে প্রত্যেককে ১’শ করে টাকা দেয়া হতো।
এছাড়াও চক্রটি কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকেট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকেট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি কার্ডেও নম্বরও সংগ্রহ করে রাখতো। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি কার্ডের দ্বারা চারটি করে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টিকেট সংগ্রহ করতো।
প্রিন্ট