নড়াইলের কালিয়ায় গোপন বৈঠক থেকে আটক হওয়া জামাত নেতা অধ্যক্ষ এম এইচ বাহাউদ্দিনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টিসহ দেশে নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে উপজেলা নড়াগাতি থানা পুলিশ।
ওই থানার এস আই মো. নাজমুল হাসান বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাহাউদ্দিনসহ আটক হওয়া ৫ জামাত নেতাকর্মীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার টোনা গ্রামের মৃত সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে কালিয়া উপজেলা জামাতের আমীর ও বড়দিয়া মুন্সি মানিক মিয়া কলেজের অধ্যক্ষ এম এইচ বাহাউদ্দিনের বাড়ীতে জামাতের নেতাকর্মীরা নাশকতা সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, দেশে নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াগাতি থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে বাহাউদ্দিনের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বাহাউদ্দিনসহ উপজেলার খাশিয়াল গ্রামের আঃ মালেক হোসেনের ছেলে ও নড়াগাতী থানা জামায়াত ইসলামী আমীর মোঃ আলমগীর হোসেন (৪৮), টোনা গ্রামের মাওলানা মাওদুদুল হকের ছেলে নিয়ামতউল্লাহ (১৯) ও ফাউজুল্লা (২৩) এবং লোহগড়া উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মৃত আঃ সালামের ছেলে ও জেলা জামায়াতের রোকন আবুল বাসারকে (৪২) আটক করে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা, বিপল পরিমান জিহাদী বই, চাঁদা আদায়ের রশিদ, সংগঠনের মাসিক রিপোর্ট ও দুইটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় আটক ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামী করে নাশকতা সৃষ্টিসহ দেশে নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল পরিন্থিতি তৈরীর চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার নড়াগাতী থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেছেন, গোপন বৈঠক থেকে আটক ৫ জামাত নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দাযের হয়েছে। আটক ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট