ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঁচার আকুতি সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাখির: সুস্থ হয়ে আবার যেতে চায় স্কুলে

চার মাস আগে পড়ে গিয়ে মাথায় ও মাজায় লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হন বাঘা উপজেলার দিঘা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাখি খাতুন।

 

চিকিৎসা করেও সুস্থ হতে পারেননি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে এখন নানা-নানীর বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেরাখি খাতুন।জানা যায়, রাখি খাতুনের বয়স যখন ১ মাস, তখন মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে । এর পর মা রেখা বেগমশিশু সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়িতে। সেখানেই বেড়ে উঠা রাখি খাতুনের। ৫মাস আগে শ্রমিকের ভিসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদিতে গিয়েছেন রাখি খাতুনের মা রেখা খাতুন ।

 

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল কাদের জানান, হাত পা নড়াতে পারে না, পাশে ঘুরে বসার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মায়ের পাঠানোসামান্য টাকা রাখি খাতুনের চিকিৎসায় অপ্রতুল। শিক্ষকসহ বিভিন্নজনের সাহায্য সহযোগিতায় কোন রকমে চিকিৎসা চলছে ।বর্তমানে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মাহাবুল আলমের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ।

 

 

 

আব্দুল কাদের জানান,চিকিৎসায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।যা ভ্যান চালক নানা কাউসার আলীর পক্ষে চিকিৎসা করানো তো দুরের কথা,তার আয়ে সংসার চালানোই দায়। প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী বলেন, দরিদ্র পরিবারের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা। হৃদয়বান ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য সুস্থ হয়ে স্কুলের সহপাঠীদের কাছে আবার ফিরে যেতে চান হত দরিদ্র রাখি খাতুন। (বিকাশ নং ০১৭৪০৬১০৩৬৪)।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

বাঁচার আকুতি সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাখির: সুস্থ হয়ে আবার যেতে চায় স্কুলে

আপডেট টাইম : ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

চার মাস আগে পড়ে গিয়ে মাথায় ও মাজায় লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হন বাঘা উপজেলার দিঘা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাখি খাতুন।

 

চিকিৎসা করেও সুস্থ হতে পারেননি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে এখন নানা-নানীর বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেরাখি খাতুন।জানা যায়, রাখি খাতুনের বয়স যখন ১ মাস, তখন মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে । এর পর মা রেখা বেগমশিশু সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়িতে। সেখানেই বেড়ে উঠা রাখি খাতুনের। ৫মাস আগে শ্রমিকের ভিসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদিতে গিয়েছেন রাখি খাতুনের মা রেখা খাতুন ।

 

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল কাদের জানান, হাত পা নড়াতে পারে না, পাশে ঘুরে বসার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মায়ের পাঠানোসামান্য টাকা রাখি খাতুনের চিকিৎসায় অপ্রতুল। শিক্ষকসহ বিভিন্নজনের সাহায্য সহযোগিতায় কোন রকমে চিকিৎসা চলছে ।বর্তমানে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মাহাবুল আলমের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ।

 

 

 

আব্দুল কাদের জানান,চিকিৎসায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।যা ভ্যান চালক নানা কাউসার আলীর পক্ষে চিকিৎসা করানো তো দুরের কথা,তার আয়ে সংসার চালানোই দায়। প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী বলেন, দরিদ্র পরিবারের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা। হৃদয়বান ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য সুস্থ হয়ে স্কুলের সহপাঠীদের কাছে আবার ফিরে যেতে চান হত দরিদ্র রাখি খাতুন। (বিকাশ নং ০১৭৪০৬১০৩৬৪)।


প্রিন্ট