ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি দস্যুদের হামলার শিকার হয়েছে। দস্যুদল ঘরের বারান্দা চালের টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় দস্যু দল তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুকগ্রাম এলাকায় অনুপ কুমার সিংহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, অনুপ কুমার সিংহ(৫০) ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে এক ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে ওই ঘরের বারান্দা চালের টিন কেটে একজন ঘরে প্রবেশ করে। পরে দরজা খুলে বাকি দস্যু দলের ৬-৮ জন সদস্য ঘরে প্রবেশ করিয়ে নেয়। ঘরে ঢুকে অনুপকে ও তাঁর ছেলে অপূর্ব কুমার সিংহকে হাত পা বেঁধে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে জিম্মি করে। দোকান ঘর থেকে আট দশ হাজার টাকার সিগারেট ও নগদ একলাখ টাকার মতো নিয়ে যায় দস্যুরা।
পাশের আরেকটি ঘরে অনুপের, মা, স্ত্রী ও ছোট ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। সে ঘরে বেড়ার টিন কেটে দরজা খুলে দস্যরা ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে অনুপের স্ত্রী রত্না রানী সিংহকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেরে প্রায় তিন ভরী স্বর্ণালংকার দস্যুতা করে নেয়। এসময় তাঁর শ্বাশুড়ি মায়া রানী সিংহ চিৎকার দেয়। তখন দস্যুর দল মেরে গুরুত্বর আহত করে। আহত মায়া রানী সিংহ (৮০) এর মুখে আঘাতে দাঁত ফেলে দেয় ডাকাত দল। সে কারণে বৃদ্ধার মুখে পাঁচটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
অপূর্ব কুমার সিংহ বলেন, দোকান ও বাসস্থানের ঘর একই সাথে লাগানো। দোকানের বেচাকেনা শেষ করে আমি ও বাবা ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ৬-৮ জনের দস্যু দল ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক হাত পা বেঁধে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরে। কিছু বুঝে উঠার আগেই সব নিয়ে যায় দস্যু দল।
রত্না রানী সিংহ বলেন, দস্যুর দল দু’ঘরে প্রবেশ করে তিন ভরী স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে। সেই সাথে আমাকে ও আমার শ্বাশুড়িকে মারধোর করেছে। আমরা এর সুস্থ তদন্ত করার দাবী জানিয়ে জড়িত দস্যু দলের সদস্যদের আটকের আহবান জানাই।
- আরও পড়ুনঃ নড়াইলে পাঁচ ইটভাটাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবুর রহমান বলেন, জানতে পেরেছি বারান্দার টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করেছে কিছু দস্যুরা। এ বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রিন্ট