কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রামের তারিফের বাড়ীতে খাবারের খোঁজে এসে আটকা পড়েছিল বিপন্ন বন্যপ্রাণী গন্ধগোকুল। বৃহস্পতিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে আটকা পড়ে প্রাণীটি। তবে সারারাত আটকিয়ে রেখে (২রা ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার খুব সকালে আহত অবস্থায় ফসলি জমির মধ্যে ফেলে রেখে যায় তারা।
পরে প্রানিটি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকার কথা জানতে পেরে সাংবাদিক সোহাগ প্রানিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সুস্থ করার ব্যবস্থা করতে পশু হাসপাতাল কিংবা বনবিভাগের কেউ গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করতে আসেননি।
সাংবাদিক সোহাগ বলেন, ‘প্রাণীটি থেকে এক ধরনের গন্ধ নিঃসরণ হচ্ছে। ওর নিরাপত্তার কথা ভেবে লোকালয়ে বের করে দেইনি। একটি খাঁচার মধ্যে আটকিয়ে রেখেছি। তবে প্রানিটি খুব অসুস্থ কতক্ষন এভাবে রাখা যাবে জানিনা। বন বিভাগের লোক না এলে প্রানিদের নিয়ে কাজ করে এমন কেও আসলেও তাদের হাতেই গন্ধগোকুলকে তুলে দেবো বলে জানান তিনি।’জানাযায়, এই বিপন্ন গন্ধগোকুলের প্রানিটির ইংরেজি নাম ‘Asian palm civet’।
এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘‘Paradoxurus hermaphroditus’। এরা এশীয় তালখাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছখাটাশ নামে পরিচিত। লোকালয়ে আসা প্রাণীদের মধ্যে গন্ধগোকুল অন্যতম। রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয় এরা। মূলত তখনি নজরে পড়ে মানুষের।গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত।
পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি।বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী গন্ধগোকুল সংরক্ষিত একটি প্রজাতি।
প্রিন্ট