ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন Logo কুষ্টিয়ার সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo যশোরের মণিরামপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সভাপতি হলেন লিটন মোড়ল Logo নাটোরের নলডাঙ্গায় পার্টনার কংগ্রেস সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদীতে কালী কুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ Logo লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিম আর নেই Logo লালপুরে স্কুলে টিফিনের ফাঁকে গাঁজা বিক্রিকালে মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo তানোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা Logo কালাইয়ে অটোভ্যানের সোকাব ভেঙ্গে চালক নিহত Logo টেকনোলজির উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয়
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুরে ভাইরাসে মারা গেছে কোটি টাকার মাছ!

গত কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত শীতে ভাইরাস জনিত কারনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কিশোরীনগর গ্রামে প্রায় কোটি টাকার পাংগাস মাছ মারা গেছে। এই গ্রামেই ৫ শত পুকুরের মধ্যে প্রায় দেড় শত পুকুরের মাছ শীতে ভাইরাস জনিত কারনে মারা যাচ্ছে। মরা মাছ ভাসছে পুকুরে পুকুরে। দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এলাকায়। মাছ চাষীরা বলছে, এ নিয়ে মৎস্য অফিসারের কোন মাথাব্যাথা নেই। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ অভ্যহত রয়েছে।

ছোট-বড় সব ধরনের পাংগাস মাছ প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে। কোন ঔষধেও ভাইরাস কে আটকাতে পারছেনা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখানকার পাংগাস মাছ বিক্রি হয়। এই পরিস্থিতিতে দৌলতপুরে পাংগাস মাছের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

মাছ চাষি মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ১২ বিঘা পুকুরের ৬ বিঘা পুকুরের মাছ ভাইরাসে আক্রান্ত। ২ সপ্তাহে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। আমরা অনুদান চাইনা, চাই শুধু সৎস্য কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ।

মাছ চাষি মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ৬ বিঘা পুকুরে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেছি। কয়েক সপ্তাহে এই ভাইরাসে ৮ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে।

মাছ চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, ভাইরাস জনিত কারনে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে কিশোরীনগর গ্রামে পাংগাস মাছ চাষিদের। এতে গ্রামের অধিকাংশ মাছ চাষিরা নিঃশ হয়ে গেছে। কোম্পানীর ঔষধে কোন কাজ হচ্ছেনা। অদ্যবদি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এহেন পরিস্থিতিতে কোন খোজ খবর নেইনি।

এদিকে মাছ ব্যাবসায়ীরা বলছেন, মাছ কিনতে এসে আমরা হতাস, সব খামারীদের পুকুরে মাছ মরে ভাসছে। তাতে এখনই মাছের ঘাটতি শুরু হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ  বলেন, তাদের দুরাবস্থাতেই খবর পেয়ে আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। শীতে মাছের রোগবালাই বেশি হয়, সীগ্রি ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থ্যা করা হবে। তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকেরা গিয়ে চিকিৎসা দিলেও তাতে কোন ঔষধে কাজ হচ্ছেনা বরং চাষিদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আব্দুল বারী দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন শীতকালে মাছের রোগ হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। পানির তাপমাত্রা কমে গেলে মাছ খাদ্য গ্রহন করতে পারেনা। অক্সিজেনের কমে গেলে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে শীতকালে মাছের রোগবালাই বেশি হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

error: Content is protected !!

দৌলতপুরে ভাইরাসে মারা গেছে কোটি টাকার মাছ!

আপডেট টাইম : ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

গত কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত শীতে ভাইরাস জনিত কারনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কিশোরীনগর গ্রামে প্রায় কোটি টাকার পাংগাস মাছ মারা গেছে। এই গ্রামেই ৫ শত পুকুরের মধ্যে প্রায় দেড় শত পুকুরের মাছ শীতে ভাইরাস জনিত কারনে মারা যাচ্ছে। মরা মাছ ভাসছে পুকুরে পুকুরে। দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এলাকায়। মাছ চাষীরা বলছে, এ নিয়ে মৎস্য অফিসারের কোন মাথাব্যাথা নেই। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ অভ্যহত রয়েছে।

ছোট-বড় সব ধরনের পাংগাস মাছ প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে। কোন ঔষধেও ভাইরাস কে আটকাতে পারছেনা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখানকার পাংগাস মাছ বিক্রি হয়। এই পরিস্থিতিতে দৌলতপুরে পাংগাস মাছের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

মাছ চাষি মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ১২ বিঘা পুকুরের ৬ বিঘা পুকুরের মাছ ভাইরাসে আক্রান্ত। ২ সপ্তাহে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। আমরা অনুদান চাইনা, চাই শুধু সৎস্য কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ।

মাছ চাষি মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ৬ বিঘা পুকুরে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেছি। কয়েক সপ্তাহে এই ভাইরাসে ৮ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে।

মাছ চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, ভাইরাস জনিত কারনে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে কিশোরীনগর গ্রামে পাংগাস মাছ চাষিদের। এতে গ্রামের অধিকাংশ মাছ চাষিরা নিঃশ হয়ে গেছে। কোম্পানীর ঔষধে কোন কাজ হচ্ছেনা। অদ্যবদি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এহেন পরিস্থিতিতে কোন খোজ খবর নেইনি।

এদিকে মাছ ব্যাবসায়ীরা বলছেন, মাছ কিনতে এসে আমরা হতাস, সব খামারীদের পুকুরে মাছ মরে ভাসছে। তাতে এখনই মাছের ঘাটতি শুরু হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ  বলেন, তাদের দুরাবস্থাতেই খবর পেয়ে আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। শীতে মাছের রোগবালাই বেশি হয়, সীগ্রি ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থ্যা করা হবে। তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকেরা গিয়ে চিকিৎসা দিলেও তাতে কোন ঔষধে কাজ হচ্ছেনা বরং চাষিদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আব্দুল বারী দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন শীতকালে মাছের রোগ হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। পানির তাপমাত্রা কমে গেলে মাছ খাদ্য গ্রহন করতে পারেনা। অক্সিজেনের কমে গেলে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে শীতকালে মাছের রোগবালাই বেশি হয়।


প্রিন্ট