বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। প্রতিটি ঋতু স্বমহিমায় আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে ওতোপ্রোতভাবে। শীতে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। প্রযুক্তিগত জীবনের প্রভাবে আজ আমরা ভুলতে বসেছি গ্রামীণ সকল ঐতিহ্য। আমাদের এই অতীত ঐতিহ্য কে স্মরণ করিয়ে দিতে নোয়াখালীর হাতিয়ায় আয়োজন করা হয়েছে পিঠাপুলির মেলা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে সোশ্যাল এওয়ারনেস এন্ড হিউম্যান সার্ভিস এর উদ্যোগে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের মাঠে দিনব্যাপি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি এ পিঠাপুলির মেলার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী, নারী-পুরুষ ও শিশুসহ
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আখতার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ মো: আজমীর হোসেন, সভাপতিত্ব করেন হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী মানছুর।
মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের ঐতিহ্যবাহি নকশি, চিতই, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল, ইলিশ পিঠা, চুটকি, মুঠি, জামদানি, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ নানা স্বাদের পিঠা সাজানো হয়েছে।
সোশ্যাল এওয়ারনেস এন্ড হিউম্যান সার্ভিস এর সদস্য আমরিন হোসাইন ফারাবী বলেন, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের এ সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সামাজিক সচেতনতা মূলক কাজ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মননিবেশ করা সহ খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধকরণ কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাম বাংলার হারানো সকল ধরনের ঐতিহ্যবাহি পিঠাগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া এবং সবার মাঝে তুলে ধরার লক্ষে আজকের এ মেলার আয়োজন।
হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আখতার হোসেন বলেন, পিঠা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলির কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।
প্রিন্ট