আতপ চাল ভিজিয়ে, তার সঙ্গে খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করেন ভাপা পিঠা। গরম গরম এ মজাদার পিঠা প্রতি পিস ১০ টাকা। আর চিতই পিঠা বিক্রি করেন ৫টি ২০ টাকা। গরম চিতই পিঠার সঙ্গে কাঁচা মরিচ ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা ও কাসুন্দি দিয়ে মজা করে খাই সবাই।
লাল চাঁদ আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ গ্রামে। তিনি জানান, ১২ বছর ধরে শীতের মৌসুমটা এখানে পিঠা বিক্রি করেন। এখন বিক্রি বেশ ভালো। তাই স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই মিলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজ করেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এত ভিড় হয়, পিঠা বানিয়ে পারা যায় না। অনেকে অনেক দূর থেকে পিঠা খেতে আসে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করি।
লাল চাঁদের স্ত্রী বলেন, আগে বাড়িতে বসে পিঠার উপকরণ তৈরিতে সাহায্য করতাম। কিন্তু এবার বিক্রি অনেক বেশি। একার পক্ষে সামলানো সম্ভব হয় না, তাই আমিও এখানে এসে পিঠা বিক্রি করছি।
পিঠা ক্রেতা খালেদ সাইফুল বলেন, লাল চাঁদ ভাইয়ের পিঠা সুস্বাদু। যার কারণে প্রায়ই খেতে আসি।
- আরও পড়ুনঃ গোমস্তাপুরে নেসকো কর্মচারীদের মানববন্ধন
প্রিন্ট