ইতিহ্যাস খ্যাত রাজা সীতারাম রায়ের অপার সম্ভাবনাময় মহম্মদপুর উপজেলাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। মধুমতি-নবগঙ্গা নদী বেষ্ঠিত অনুন্নত উপজেলা মহম্মদপুর। এখানে শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য হারে কম।
সবদিক থেকেই পিছিয়ে আছে উপজেলাটি। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল মহোদয় এত্র উপজেলায় যোগদানের পর এ উপজেলাকে সমৃদ্ধশালী একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থীর করে কাজ করে যাচ্ছেন। মহম্মদপুর উপজেলায় কর্মরত একঝাক নিবেদিত তরুণ ও উদ্যমী অফিসারবৃন্দ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
এসব কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সহযোগিতা করছেন মাগুরা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ। প্রায় সমসাময়িক সময়ে মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসনের দুই কর্তাব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী সুমন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সবাইকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করায় অবহেলিত মহম্মদপুরের চিত্র দ্রুতই বদলে যাচ্ছে। উপজেলার সকল কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং গৃহীত কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড খুব দ্রুতই দৃশ্যমান হলে সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনামতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী তার নিজ উপজেলা ভূমি অফিস’টি ঢেলে সাজানোর মতোই পাল্টে ফেলেছেন। আগের চিত্র আর বর্তমান চিত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। অফিস’টির সংস্কার কাজ এখনও চলমান রয়েছে। বেশকিছু কাজ ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। আরো কিছু কাজ চলমান আছে। মহম্মদপুর সদর বাজারের মাঝ খানের জরাজীর্ণ পাকুড় গাছটি সংস্কারের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। এটির নামকরণ করা হয়েছে- “সুবর্ণ জয়ন্তী মঞ্চ “এবং একই সাথে রাজা সীতারাম রায়ের কাচারি বাড়ির সামনের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে এবং সাথেই দোল মন্দির চত্বরে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে। একই সাথে একশো কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মধুমতি নদীতে শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর পাশে প্রায় ১৭ একর সরকারি খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে নির্মাণাধীন নতুন বাস স্ট্যান্ড ও মধুমতির নদীর তীরে খু্ব সুন্দর প্রাকৃতিক মনজুড়ানো পরিবেশে প্রস্তাবিত ইকোপার্কের ভেতরে লেক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং যে সমস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষদের জমি নেই, ঘর নেই প্রকৃত ভূমিহীনদের যাচাই বাছাই করে তাদের মুজিববর্ষের ঘর প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত আছে এভাবেই উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়ন এগিয়ে চলছে।
প্রিন্ট