ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস Logo ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব, থানায় জিডি Logo কুষ্টিয়ায় হাসপাতাল কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ Logo সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার অনুষ্ঠিত Logo রমজানে পণ্য মূল্য সহনীয় রাখতে চরভদ্রাসনে বাজার মনিটরিং Logo বোয়ালমারীতে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল শান্তা Logo গোমস্তাপুরে মেসার্স নজরুল অটো রাইস মিলের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত Logo নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ Logo হাতিয়ায় আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের লোকেদের ইফতার সামগ্রী দিচ্ছেন সুমন রাফি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হত্যার পর সারা রাত স্ত্রী’র লাশের পাশেই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক স্বামী

-ছবিঃ প্রতীকী।

রাজশাহীর বাগমারায় বিয়ে করতে বাধ্য করায় ও যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে (২৩) হত্যার পর লাশের পাশে সারা রাত অপ্রাপ্তবয়স্ক স্বামী শুয়ে ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছে অভিযুক্ত ১৭ বছর বয়সী তরুণ।তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর একটি কন্যাসন্তান আছে। দেড় মাস আগে ছেলেটি ওই নারীর বাড়িতে যায় দেখা করতে। সেখানে তাকে আটক করা হয়। পরে ওই নারীর বিয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছেলেটির স্বজনদের ডেকে এনে এলাকাবাসী দুজনের বিয়ে দেন। এরপর ছেলেটি স্ত্রীকে নিয়ে নানার বাড়িতে ওঠে। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরেই রাতে ছেলেটি স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তরুণটি সারা রাত লাশের পাশে খাটে শুয়ে ছিল। গতকাল শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত নারীর মা বাদী হয়ে জামাতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত নারীর মা দাবি করেন, সপ্তাহখানেক আগে মেয়ের সুখের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জামাতাকে দিয়েছিলেন। এরপরও তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলা হলো। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক হোসেন বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস

error: Content is protected !!

হত্যার পর সারা রাত স্ত্রী’র লাশের পাশেই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক স্বামী

আপডেট টাইম : ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

রাজশাহীর বাগমারায় বিয়ে করতে বাধ্য করায় ও যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে (২৩) হত্যার পর লাশের পাশে সারা রাত অপ্রাপ্তবয়স্ক স্বামী শুয়ে ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছে অভিযুক্ত ১৭ বছর বয়সী তরুণ।তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর একটি কন্যাসন্তান আছে। দেড় মাস আগে ছেলেটি ওই নারীর বাড়িতে যায় দেখা করতে। সেখানে তাকে আটক করা হয়। পরে ওই নারীর বিয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছেলেটির স্বজনদের ডেকে এনে এলাকাবাসী দুজনের বিয়ে দেন। এরপর ছেলেটি স্ত্রীকে নিয়ে নানার বাড়িতে ওঠে। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরেই রাতে ছেলেটি স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তরুণটি সারা রাত লাশের পাশে খাটে শুয়ে ছিল। গতকাল শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত নারীর মা বাদী হয়ে জামাতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত নারীর মা দাবি করেন, সপ্তাহখানেক আগে মেয়ের সুখের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জামাতাকে দিয়েছিলেন। এরপরও তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলা হলো। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক হোসেন বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।