মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলাকালে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাসকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। তিনি বলেন, “হ্যালো ডাক্তার অলোক। আমি প্রফেসর আব্দুল মান্নান কথা বলছি। তুমি বাইরে থেকে এসে মেহেরপুরে বেশ আরামেই আছ। বাড়ি ঘর করে পয়সা টাকা অনেক কামাই করেছ। আমি কিন্তু যেমন ভালো লোক, তেমনি খারাপ লোক। তোমাকে মন্ত্রী প্রমোশন করেনি। বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট তোমার প্রমোশন দিয়েছে। মন্ত্রীকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে যদি আর একটা কথা শুনি, তাহলে আমি এমপি হই আর না হই, তোমার মেহেরপুরের বাসা আমি উঠিয়ে দেব। আর তুমি যদি সাবধান হয়ে যাও, তাহলে আমার প্রিয়পাত্র হয়ে থাকবে। এইটুকু তোমাকে আমি বললাম। তুমি পারলে তোমার মন্ত্রীকে বলো। পারলে তোমার যেখানে শেখ হাসিনাকে বলো। মনে রেখো আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি। সাবধান হয়ে যাও তুমি। আমি তোমার কোনো কথা শুনব না। আমি যে রিপোর্ট পেয়েছি। আমি খুব অসন্তুষ্ট তোমার ওপর।” এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আলোক কুমার দাস কথোপকথনের অডিও রেকর্ডসহ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তথ্যপ্রমাণসহ বিষয়টি ইসিতে পাঠালে ইসি মামলার জন্য সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।’
মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য্য তরুণ মামলা ও সমন জারির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন আমলে নিলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার দোলন কান্তি ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলা করেন।’