সেক্যুলারিজমের দৃঢ় সমর্থক ও মানবাধিকার কর্মী কামরুজ্জামান এর উপর বর্বোরচিত হামলা হয়েছে। স্থানীয় স্টেডিয়াম রোড থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করার পর বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে গত ৯ই জানুয়ারি ২০২৩ স্থানীয় আওয়ামী ওলামা লীগের আহবানে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ -মিছিলের পর তার উপর এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
জানা যায়, ইতিপূর্বে তার ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত উগ্রবাদ -রোষ প্রশমনের উদ্দ্যেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী উলামা লীগের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামের আপোষ মিমাংসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তিনি গতকাল বিকালে ঢাকা থেকে বোয়ালমারী পৌঁছেন।
চৌরাস্তায় মুকুল মিয়ার ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও তার কতিপয় সহযোগীর সংগে আপোষরফা বৈঠকের এক পর্যায়ে কামরুজ্জামানের কাছ থেকে বড় অংকের কাফফারা দাবী করে বসেন কিন্তু কামরুজ্জামান তা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করায় এ নিয়ে বিতন্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে কামরুজ্জামানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
কামরুজ্জামান সেখান থেকে বের হয়ে আঁধারকোঠাস্থ নিজ বাসভবনের উদ্দ্যেশ্যে স্টেডিয়াম সড়ক দিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হবার পরই পেছন থেকে সিরাজুল ইসলামের সংগীরা লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলে পড়ে। পথচারীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায় এবং আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি আশংকামুক্ত। তিনি সুস্থ হলেই মামলা করবেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
কাপুরুষোচিত এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রগতিশীল মহল নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের বিচার দাবী করেছেন।
সংবিধান মোতাবেক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম, সমাজে প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবাদী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কামরুজ্জামান অনেক দিন ধরেই কাজ করে আসছেন। তাছাড়া তিনি এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি নানা রকম সাংস্কৃতিক ও মানবহিতৈষী কার্যক্রমে দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
এসমস্ত কারণে তিনি আগে থেকেই উগ্রবাদীদের হিট লিস্টে ছিলেন।
প্রিন্ট