ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতভর অভিযান চালিয়ে ওই ৮জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় গণধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-১৭।
থানা সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ২৬ বছরের এক গৃহবধু আত্মীয়তার সূত্রে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রামে খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। খালাতো বোনের জা আফরোজা বেগম অসুস্থ্য হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই নারীর খালাতো বোন এলিনা বেগম হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
এ খবর পেয়ে ওই নারী বোয়ালমারী হাসপাতালে আসে। সেখান থেকে রাতে ওই নারীসহ খালাতো বোনের স্বামী মো. মিন্টু মোল্যার শিরগ্রাম বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে নারীকে ফুসলিয়ে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রামচন্দপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে মিন্টু মোল্যাসহ আরো দুইজন ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকার আরো ৫জন সেখানে গিয়ে মিন্টুকে মারধর করে ওই নারীকে তারাও ৫জন ধর্ষণ করে।
নিজেকে বাচাতে মিন্টু মোল্যা তার খালাতো শালিকে ম্যানেজ করে এ ঘটনার বিষয়টি প্রথমে আলফাডাঙ্গা থানায় জানায়। ঘটনাস্থল বোয়ালমারী থানার মধ্যে হওয়ায় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ বোয়ালমারী থানায় জানালে ধর্ষিতা ওই গৃহবধু ও তার খালাতো বোনের স্বামী মিন্টু মোল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাতে ৮জনকে আটক করে।
আকটকৃতরা হলো, ওই গৃহবধুর খালাতো বোনের স্বামী আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম কাওসার মোল্যার ছেলে মো. মিন্টু মোল্যা (৩৫), জয়দেবপুর গ্রামের ওলিয়ার ফকিরের ছেলে হাসমত ফকির (৩২) ও বোয়ালমারী উপজেলার বনচাকি চরপাড়া গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৯), হেমায়েত হোসেনের ছেলে মফিজুল মোল্যা (২১), আঃ কুদ্দুস মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা (২০), রামদেবনগর গ্রামের কামরুল শেখের ছেলে শাহিন শেখ (২১), নূর মোহাম্মদ শেখের সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও চরসুখদেবনগর গ্রামের আবু মোল্যার ছেলে রিপুল মোল্যা (৩৯)। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই গৃহবধু মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ওসি মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৮জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। বিকেলে ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট