মোঃ আমিন হোসেন : ঝালকাঠির নলছিটিত বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসব ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। যাতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের দীর্ঘ মেয়াদি শারিরীক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন।
কুলকাঠির স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব খান বলেন,এসব ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এছাড়া কৃষি জমি নষ্ট করে শুকানো হচ্ছে কাঁচা ইট। পাশ্ববর্তী সুগন্ধা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে আনা হচ্ছে ফলে নদীর ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরোজমিনে উপজেলার মগড়,দপদপিয়া ও পৌর এলাকার বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ এবং গাছের ঘুরি। কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন মানছেন না। কুলকাঠি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মাঝামাঝি অবস্থিত টিটিসি ব্রিকসে কৃষি জমি নষ্ট করে ইট তৈরি ও শুকানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিক কবির তালুকদার মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদক কে জানান, আমার ইটভাটার লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন আছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগের উপ পরিচালক, এ,এইচ,এম রাশেদ জানান, চিমনিবিহীন ইটভাটার কোন অনুমোদন নেই। আর অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।
প্রিন্ট