বাঘার ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমানকে যশোরের বেনাপোল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সেখানকার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বাঘা থানা পুলিশ। মতিউর রহমান বাঘা পৌরসভার মুশিদপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। সে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক নেতা প্রেসব্রিফিংয়ে, উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক মতিউর রহমানকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি করেন।
মতিউর রহমানের পিতা আব্দুল খালেক জানান, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজ গ্রাম মুশিদপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে ছিল।এ দিন রাত সোয়া ১০টার দিকে তার সাথে কথা হলে নিজ গ্রাম মুশিদপুর মোড়ে থাকার কথা জানিয়েছিল। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করা ও মনির নামের একজনের কাছ থেকে ধারে নেওয়া টাকা সহ প্রায় সাড়ে ৪লাখ টাকা ছিল। তাকে না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করে ছিলেন।
মতিউর রহমানের নিকট আত্নীয় লিমন আহমেদ জানান, মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, রাতে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়। পরে বেনাপোল থানা এলাকায় ফেলে রেখে যায়। জ্ঞান ফিরলে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেনাপোল থানায় স্বেচ্ছায় হাজির হন। তার গায়ের জ্যাকেট ও কাছে থাকা টাকা পাওয়া যায় নি বলে জানান তিনি।
বোনাপোল থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে উদ্ধারে যান বাঘা থানার এসআই সামিউল আলম। তিনি জানান, বুধবার বিকেলে বোনাপোল থানায় পৌঁছেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় মতিউর রহমানকে তার কাছে হস্তান্তর করে বেনাপোল থানা পুলিশ। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসা বাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বেনাপোল থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
প্রিন্ট