নড়াইল জেলায় ৮মবারের মতো শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন খান ডালু। গিয়াস উদ্দিন খান ডালুকে ২০২২-২০২৩ করবর্ষে কর অঞ্চল খুলনা কর্তৃক জেলার সেরা করদাতা (১ম) নির্বাচিত করেন। সেরা করদাতা হিসেবে তাঁকে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় রাজস্ববোর্ডের তত্ত্ববধানে কর অঞ্চল খুলনা কর্তৃক ২০২২-২০২৩ করবর্ষে খুলনা সিটি করপোরেশনের ও খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার সর্বোচ্চ করদাতা ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের স্বীকৃতির লক্ষ্যে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার মো. সিরাজুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ববোর্ডের সদস্য (অডিট, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন) জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অতিথিবৃন্দ নড়াইল জেলার সেরা করদাতা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন খান ডালুর হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও উপহার তুলে দেন।
এর আগে খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার মো. সিরাজুল করিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গিয়াস উদ্দিন খান ডালুকে নড়াইল জেলার সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী করদাতা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সেরা করদাতা মনোনীত হওয়ায় নিজেকে অত্যান্ত গর্বিত নাগরিক হিসেবে দাবি করে গিয়াসউদ্দিন খান ডালু বলেন, ছাত্রজীবনে আমি যখন ঢাকায় পড়াশোনা করতাম, তখন থেকেই নড়াইলে গিয়ে কিছু একটা করার প্রবল ইচ্ছা ছিলো। অনেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধনী ঢাকায় যায় আয়-রোজগারের জন্য। আমি ১২বছর ঢাকায় থাকার পর ভালো চাকুরি ছেড়ে দিয়ে মফস্বল শহরে এসে ব্যবসা শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ, আমার প্রচেষ্টায় দু’শতাধিক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আর তাদের জন্যই আমার আজকের এই অর্জন। আমাদের মতো ছোট জেলা শহর সবাই যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তাহলে আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। আমি আয়কর প্রদানে জেলার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবো।’
উল্লেখ্য, নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী মো: গিয়াস উদ্দিন খান ডালু ব্যবসায়ী মৃত গোলাম মোর্শেদ খানের ছোট ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ছোট ভাই। তিনি রূপালী ট্রেডার্স, রূপালী টেলিকম, রূপালী মোটরস, আর.কে ইন্টারন্যাশনাল, রাফাত ট্রেড, মৃদুলা ইন্টারন্যাশনাল, ডিটিএল জাপানীজ কার আমদানীকারক, টিভিএস মটর বাইক শো-রুম, গ্রামীণফোন, বিকাশসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও ডিলারশিপ পরিচালনা করে আসছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুই শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
প্রিন্ট