সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩) ভোর চারটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান ফজলুর রহমান (৭৬)। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ফজলুর রহমান গতকাল রোববার অফিস করেছেন। আজ ভোরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবার জানিয়েছে, আজ বাদ আসর গেন্ডারিয়া ধূপখোলা মাঠে ফজলুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১১ ভাই-বোনের মধ্যে ফজলুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। ২০২১ সালে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কিশোর বয়সে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় নিজেদের বসতবাড়ির আঙিনায় মাত্র ৪২ টাকা পুঁজিতে একটি মুদিদোকান খুলে ব্যবসা জীবন শুরু করেছিলেন তিনি।
পরে ফজলুর রহমানের হাতে গড়ে ওঠে সিটি গ্রুপ। ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধন, চাল-ডাল, আটা-ময়দা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোলট্রি খাদ্য, জাহাজনির্মাণ, চা–বাগান, ব্যাংক, বিমা, হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে সিটি গ্রুপের ব্যবসা রয়েছে।
সিটি গ্রুপের বর্তমানে ৪০টি প্রতিষ্ঠান আছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, সিটি গ্রুপের বিনিয়োগ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান ১৫ হাজারের বেশি। বার্ষিক বেচাকেনা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এই সংখ্যা এখন আরও বেড়েছে।
ফজলুর রহমান একাধিকার সেরা প্রবীণ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরেও তিনি সেরা প্রবীণ করদাতা নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি এশিয়া ওয়ান ‘গ্রেটেস্ট লিডার ২০২০-২১’ সম্মানে ভূষিত হন।
ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শোকবার্তায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফজলুর রহমান অত্যন্ত স্বপ্নবাজ মানুষ ছিলেন। বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতির বিকাশসহ একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর অবদান সবাই স্মরণ রাখবে। একটি শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি সারা জীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন টিপু মুনশি। তিনি ফজলুর রহমানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রিন্ট