ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে পাটের ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষেত পরিচর্যা করছে কৃষকেরা Logo তানোরে রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন ও ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ Logo দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ Logo শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন Logo আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেনের জীবন সংকটাপন্ন Logo নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার Logo তানোরে পলিনেট হাউস প্রকল্পে অনিয়ম! Logo মাগুরায় বোরো ধানে সমলয় চাষাবাদে পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo মাগুরায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন Logo লালপুর উপজেলা নির্বাচন প্রচারণায় এগিয়ে শহীদ মমতাজ উদ্দিনের পুত্র শামীম আহমেদ সাগর
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভারত ও রাশিয়ার মিত্রবাহিনীর ৪৪ সদস্যকে সংবর্ধনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারত ও রাশিয়ার মিত্রবাহিনীর ৪৪ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের ৩৬ এবং রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ৮ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে।

 

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়, খাবার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।

 

ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবৃত্তি চালু করছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিবারসহ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) মাধব আরেন বলেন, আমরা আশা করি উভয় দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। পারস্পরিক সহযোগিতা দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করি।

 

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রাশিয়ান সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) গোবেনকো ভিটালি বিটরোভিচ বলেন, এ বিজয় আমাদের যৌথ বিজয়। আমি দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।

 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাধীনতা পদক ও পদশ্রীপ্রাপ্ত লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সদরপুরে পাটের ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষেত পরিচর্যা করছে কৃষকেরা

error: Content is protected !!

ভারত ও রাশিয়ার মিত্রবাহিনীর ৪৪ সদস্যকে সংবর্ধনা

আপডেট টাইম : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারত ও রাশিয়ার মিত্রবাহিনীর ৪৪ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের ৩৬ এবং রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ৮ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে।

 

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়, খাবার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।

 

ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবৃত্তি চালু করছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিবারসহ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) মাধব আরেন বলেন, আমরা আশা করি উভয় দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। পারস্পরিক সহযোগিতা দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করি।

 

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রাশিয়ান সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) গোবেনকো ভিটালি বিটরোভিচ বলেন, এ বিজয় আমাদের যৌথ বিজয়। আমি দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।

 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাধীনতা পদক ও পদশ্রীপ্রাপ্ত লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।