মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়, খাবার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবৃত্তি চালু করছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিবারসহ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) মাধব আরেন বলেন, আমরা আশা করি উভয় দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। পারস্পরিক সহযোগিতা দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করি।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রাশিয়ান সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) গোবেনকো ভিটালি বিটরোভিচ বলেন, এ বিজয় আমাদের যৌথ বিজয়। আমি দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাধীনতা পদক ও পদশ্রীপ্রাপ্ত লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রিন্ট