সদরপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন নিজেই রোগী। বর্তমানে স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের তিনটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ও দেয়ালের স্লাপ যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূর্ণ নির্মাণ, লোকবল নিয়োগ না দিলে ঐ এলাকার জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকারি কোন তদারকী না থাকায় প্রতি দিন শত শত রোগী স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে যাচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের অনুদানে ৪০ শতাংশ জায়গার উপর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মাণ ও পরিচালিত হয়ে আসছিল। মূল ভবন ও ষ্টাফ থাকার জন্য আরো ২টি ভবনসহ মোট ৩টি ভবন ও চারপাশে প্রাচীর করা হয়।
বর্তমানে নেদারল্যান্ড সরকারের অনুদান বন্ধ করে দেয়ায় নেই কোন লোকবল। নেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির তদারকী ও পরিচর্যা। উপজেলার বৃহত্তর জনসংখ্যা বহুল ইউনিয়নটিতে প্রায় ৬০ হাজার জনগণের বসবাস। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হলে ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জনগণকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয়, ফলে জনগন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এছাড়া উক্ত স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি সদরপুর-ফরিদপুর সড়কের পাশে অবস্থান হওয়ায় রোগীর চাপ প্রতি দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছোট-খাটো চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ওমর ফয়সলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে, ছাদের প্লাষ্টার ধ্বসে পড়েছে। যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। জোড়াতালি দিয়ে আমরা ২বছর চালিয়ে ছিলাম এখন আর চালানো সম্ভব নয়। এছাড়া একজন মেডিকেল সহকারি ও এক জন ভিজিটর দিয়ে পরিচালনা করেছিলাম, ভিজিটর অবসরে গেছে ও মেডিক্যাল সহকারি উপজেলায় করোনা সেবায় কর্মরত আছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসি।
প্রিন্ট