ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন ও মাহমুদা বেগম কৃকের মনোনয়ন বৈধতায় তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) আপিল শোনানিতে তাদের দু জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে। এসময় সেখানে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা আপিল শুনানি কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৩ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ে দিন। ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অসম্পূর্ণের কারণে বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান পিএএ। তার প্রেক্ষিতে ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তাদের প্রার্থীতা ফিরে পান।
- আরও পড়ুনঃ আপনারাই তৃণমূল কর্মীরা সকল উন্নয়নের অংশীদার হবেন-আব্দুর রহমানঃ নৌকার পক্ষে আ.লীগ বোয়ালমারীতে একজোট
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন তার প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের যে অঙ্গীকার, ইসির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেটি আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছি।
আরিফুর রহমান দোলন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সামাজিক সংগঠন কাঞ্চনমুন্সি ফাউন্ডেশনের পরিচালক।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম কৃক। বাংলাদেশমহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তিনিও তার মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র এ দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের কারণে ফরিদপুর-১আসনে সাধারণ জনগণ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে তাদের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়াতে এ আসনের সাধারণ মানুষের মাঝে ভোটের আমেজ ও উৎসাহ উদ্দীপনা আবার ফিরে এসেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
সাধারণ মানুষের ধারণা এবার সংসদ নির্বাচন ফরিদপুর-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লড়াইয়ে যারা এগিয়ে রয়েছে। তারা হলেন; আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক দুই বারের এমপি আব্দুর রহমান, বিএনএম এর প্রার্থী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের মাঝে তুমুল ভোটের লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রিন্ট