৮ই ডিসেম্বর শুক্রবার এইদিনে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়েছে।
ভোরে উপজেলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা কার্যলায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
৮ই ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের সকল সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফারাকপুর রেল গেট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়।
বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের সামনে আলোচনা সভা ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট সাবেক কমান্ডার এ্যাড: আলম জাকারিয়া টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু।
বক্তব্য রাখেন, যুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সুজা উদ্দীন প্রমূখ।
আলোচনাসভায় মুক্তিযোদ্ধারা সকল যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির দাবি জানান। তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন,১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়ে রচিত হয়েছে ভেড়ামারায় প্রথম স্বাধীনতার ইতিহাস।
দীর্ঘ সাড়ে ৮ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও যুদ্ধের পর পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ভেড়ামারা থেকে পালিয়ে যায়। আর তখনই সমগ্র ভেড়ামারার মানুষ আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন।
পরে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আলোচনা সভা ও র্যালিতে শহরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে শহীদদের প্রতি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দ্রিয় বড় মসজিদের প্রেস ইমাম ফারুক হোসেন ।
প্রিন্ট