কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্পিরিট পান করে নুরুল ও কাশেম নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় আরো একজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল ইসলাম। এর আগে, একই সঙ্গে স্পিরিট পানে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে মারা যান কাশেম আলী।
নিহত নুরুল ইসলাম কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে। তিনি একজন মোটর শ্রমিক। আর নিহত কাশেম আলী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে। কাশেম নুরুলের সহযোগী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের হামিদুল ডাক্তারের হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে নুরুল ইসলাম এবং কাশেম আলী স্পিরিট কিনেন। এরপর একটি মুদি দোকানে বসে পান করেন। নুরুল এবং কাশেম গঞ্জের আলীকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় স্পিরিট পান করেন। সেদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা ও স্থানীয়রা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ও কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গঞ্জের আলী।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, স্পিরিট পান করার কারণে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আহত অবস্থায় একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
- আরও পড়ুনঃ ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী’র ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আলফাডাঙ্গার ওসি, সুষ্ঠু নির্বাচন কি আদৌ সম্ভব!
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, স্পিরিট পানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রিন্ট